পাতা:আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা - প্রবীর ঘোষ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কারণ: চব্বিশ

মানুষের ভাগ্যের নিয়ন্তক শক্তি ঈশ্বর, না গ্রহ-নক্ষত্র?

জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে—মানুষের ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত। জন্মের সময়ে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান অনুসারে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়।

 জ্যোতিষীদের এই দাবিকে স্বীকার করার অর্থ মানুষের ভাগ্যের নির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে ঈশ্বরকে অস্বীকার করা।

O

জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে মানুষের ভাগ্য পূর্বনির্ধারিত। জন্মের সময়ে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান অনুসারে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। জ্যোতিষীদের এই দাবিকে স্বীকার করার অর্থ মানুষের ভাগ্যের নির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে ঈশ্বরকে স্বীকার করা।

O


 অর্থাৎ স্পষ্টতই জ্যোতিষ বিশ্বাস ও ঈশ্বর বিশ্বাস একে অন্যের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। দুই বিশ্বাস একান্তভাবেই পরস্পর বিরোধী। কিন্তু মজার কথা হল এই যে, প্রত্যেক জ্যোতিষীর কি চেম্বারে, কি বাড়িতে, ঠাকুর-দেবতার ছবির ঠাসাঠাসি ভিড়। ধর্মগুরু ও অবতারদের হাতের আঙুলে, বাহুতে, গলায় গ্রহরত্নের চলমান প্রদর্শনী।

 এমন স্ববিরোধিতার কারণ কী? তবে কি ঈশ্বর-বিশ্বাসীরা ততটা জোরালভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না? দ্বিধাগ্রস্ত? জ্যোতিষীরাও ততটা গ্রহ-নক্ষত্রের ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন না? দ্বিধাগ্রস্ত?

ঈশ্বর-বিশ্বাসকে জীবিকা করা ধর্মগুরুরাই যদি ঈশ্বরের অস্তিত্বে দ্বিধাগ্রস্ত হন, তবে সাধারণ মানুষ দ্বিধামুক্ত হবে কোন যুক্তিতে? এরপর যদি বলি, “ঈশ্বর-নির্ভর ধর্মশাস্ত্র আরামভোগী, অন্নচিন্তাহীন, পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া একদল 'ধর্মগুরু' নামের প্রতারকদের করে খাওয়ার শাস্ত্র"-ভুল বলা হবে কি?


কারণ: পঁচিশ

‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি'—তবু সেই স্বপ্ন জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে ঈশ্বকে অস্বীকার করা কি বুদ্ধিমানের কাজ?

সালটা ১৯৬২। তখন কলেজে পড়ি। গ্রীষ্মের ছুটিতে গিয়েছিলাম দেওঘর। দেখা করলাম পুরুষোত্তম ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সঙ্গে। কথায় কথায় জিজ্ঞেস করেছিলাম—ঈশ্বরকে না দেখা পর্যন্ত, অথবা ঈশ্বর কৃপায় অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বলে প্রচারিত কারও সে ক্ষমতা বাস্তবিকই আছে, প্রমাণ না পাওয়া

৫১