পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাবিত্রীর গান হচ্ছে রেডিওতে। অমৃতের মনে হয় সবই এমনি অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। কোথাও কোনো আলোর আশ্বাস নেই। তবু বঁাচার জন্য চেষ্টা করে মানুষ। অমৃতও তাই ঘুরছে। রাত্রির কথা ভুলে গেছে। এবার কার্ড রিনিউ করতে গিয়ে ও লাইনের দিকে চেয়ে কার খোজ করেছে। রাত্রির দেখা নেই। হঠাৎ অমৃত সেইদিনই একটা ইন্টারভিউ-এর চিঠি পেয়েছে। হয়তো কোনো সম্ভবনা আছে। এই আশা নিয়েই আবার সেজে-গুজে বের হবার চেষ্টা করে। নিজের প্যান্ট-জামা তেমন নেই। জুতোটাও ছিড়ে গেছে। এক বন্ধুর জামা-প্যান্ট পরে ওই জুতোটা পালিশ করিয়ে বের হয় আজ। সুধাময়ী যাবার আগে কপালে। দই-এর ফোঁটাও দিয়ে দেয়। কদিন ধরে বাড়িতে একটা গুমোট ভাব রয়েছে। অশোক সেই ভোরারাত্রে চলে গেছে তারপর আর কোনো খবর নেই। লতিকাও নিত্যুর মা বলে ওরা নাকি এখন ফেরারী আসামী । পুলিশ খুঁজছে oto চুপ করেই ওসব কথা শুনেছে সুধাময়ী। ওর মন-মেজাজ বিষিয়ে গেছে। এতদিন ধরে মেয়ের সম্বন্ধেই বিচিত্র বিশ্রী আলোচনা আর মন্তব্যগুলো কানে এসেছে, এবার তার সঙ্গে অন্য মন্তব্যও যুক্ত হয়েছে। সুধাময়ী বলে। -চাকরী-বাকী হােক ঠাকুরের দয়ায়, এখান থেকে চল বাবা অন্য কোথাও । সেটা কোথায় রইল কে জানে ? অমৃত মাকে প্রণাম করে বের হ’ল কোন চাকরীওয়ালা বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে আনা জামা প্যান্ট পরে। অমৃতের মনে হয় এই সব বিড়ম্বনা থেকে মুক্ত হবে সে। এই প্রহসন তার ভালো লাগে না। তবু বের হয়েছে। ইন্টারভিউ এর আগেও কয়েকবার দিয়েছে। আজও তাই এ প্রসঙ্গ তার কাছে নতুন নয়। সেই একই ধরণের আজগুবি প্রশ্ন করেন। কর্তারা। ভবিষ্যৎ কেরানীদের S Oዩ?