পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশোকের চোখ জুলছে। অন্ধকারে। ওরা থামবে না ! বলে সে | —খর্চার খাতায় লেখা মানুষ আমরা, মরতে হয় কিছু কাজ করেই মরবো। অন্ধকারে ওদের ও সব পথ-আশ্বিাস কোন গোলকধাঁধায় হারিয়ে গেছে। বাবার কথা মনে পড়ে, বাবা বলতেন।


ওদের সব আশ্বাস যেদিন মিথ্যা হয়ে যাবে সেদিনও এই মত-বাদকে ধরে থাকতে পারবি অশোক ?

আজ তাদের সেই কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। খিদেও লেগেছে। এর তীব্রতা ক্রমশ বিনিদ্র রাতে বেড়ে ওঠে। মনের তীব্র জুলার সঙ্গে } গোর্বদ্ধন মিত্তির জানে কখন কোনদিকে মদত দিতে হয়। তাই এতকাল ওই ছেলের দলকে মদত দিয়েছিল তার রাজনৈতিক নেতা সেজে থাকার জন্য। ক্রমশ দেখেছে। এবার নিজেকে টিকিয়ে রাখতে গেলে অন্য পথ ধরতে হবে। ওই অশোকের দল সেদিনের লড়াই-এ জিততে পারে নি। ওরা চোট খেয়ে পালিয়ে গেছে। এখান থেকে { আর রাতারাতি গোর্বদ্ধনবাবুও মত বদলে নিয়েছে। এখন নতুন দলেরই সমর্থক, তাদেরই যোগান দিয়ে চলেছে। জানতে হয়তো মরীয়া হয়ে ওরা হামলা করবে। তাই আটঘটি বেঁধেই রেখেছে। অশোককেই তার ভয় বেশী ! ছেলেটা মরীয়া, আর ২ তো আঘাত পেয়ে কোণঠাসা হবে ততই মরীয়া হয়ে উঠবে তারা। পুলিশও খুঁজছে তাদের। আলোগুলো নেভানো। গোর্বদ্ধনবাবুর বাড়ির জানলা কপািটও বন্ধ। রাস্তার ওদিকে গোর্বদ্ধ নবাবুর নতুন সমর্থক দলের ছেলেরা রকে বসেছিল, হঠাৎ অন্ধকারে ওদিক থেকে কয়েকটা বোমা আগুনের ঝলক নিয়ে গর্জে ওঠে, স্পিন্টারগুলো ছিটকে পড়ে চারিদিকে, এদের একটা ছেলে ছিটকে পড়েছে, অস্ফুট আর্তনাদ করে ওঠে। δ Σ. Σ