পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাবিত্রী শোনায়-আগে তো ওই কথাই বলতে । তবে আজ কোন ঘর বঁাধো न् ि? কাজল বলে—সেই মনের মানুষকে যে খুঁজছি। সাবিত্রী। —তার সন্ধান এখনও পাও নি ? তরলকণ্ঠে কলকলিয়ে ওঠে সাবিত্রী। কাজল ওকে দেখছে। সেদিনের এদো বাড়ির লম্বা মেয়েটার দেহে আজ পূর্ণতার জোয়ার এসেছে। শ্রাবণের নদীর মত ও মাতাল হয়ে উঠেছে। এ যেন অন্য একটি নারী-যাকে কাজল আবার নতুন করে চিনতে চায়, দেখতে চায়। কাজলের মনের এই ভাবাস্তরই একটা বৈচিত্র্যময় নেশার মাদকতা আনে। কাজল বলে ওঠে। —খুজছি। তবে মনে হয় এবার খুঁজে পেতে দেরী হবে না। --তাই নাকি! ওরা সুলেখাদের পাড়ায় এসেছে। * গাড়িটা একটু দূরে বড় রাস্তার ধারে থামতে সাবিত্রী অবাক হয়ে শুধোল । —বাড়িতে যাবে না ? সাবিত্রী সুলেখার বাড়িতেই রয়েছে। কাজল কিন্তু অত দূরে গেল না। বলে— চলে যাও, ওই তো বাড়ি। লেখা শুধোলে বলবে ট্যাক্সিতে এলাম। অবাক হয় সাবিত্রী ওর কথায় } --তুমি যাবে না ? হাসল কাজলবাবু! ওর কথাটা এড়িয়ে গেল। তাই সাবিত্রী একাই এসে বাড়ি ঢুকলো । বাড়িতে তখনও আলো জুলছে। সাবিত্রী উপরে উঠে গিয়ে সুলেখাকে দেখে অবাক হয়। সুলেখা ওদিকের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। সাবিত্রী বলে। —এখনও জেগে আছো লেখাদি ? সুলেখা জবাব দিল না। সাবিত্রীকে ও দেখছে তীক্ষু সন্ধানী দৃষ্টি মেলে। ওই চাহনিতে সাবিত্রী আজ নতুন কিছুর সন্ধান পায়। সুলেখা কিছু বলল না। সাবিত্রী বলে চলেছে নিজে থেকে। S NVT তুমি