পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমৃত তব এবার এত অন্ধকারের মাঝে একটা আশ্বাস পেয়েছে। ভাগ্যকে সে মানে না, কারণ ওকে বিশ্বাস করেও কোন ফল হয় নি ; তবু এটা ঘটে গেছে। ব্যাঙ্কে সেই ভালো চাকরীর নিয়োগপত্র এসে গেছে। বাবার শেষ কাজ করে সেখানে যোগ দিতে হবে। একজন স্তব্ধ হয়ে গেছে--সে সাবিত্রী। সুলেখাদির ওখান থেকে সবে এসেছে, গানও স্তব্ধ হয়ে গেছে তার। বাবার সেই শেষ চাৎকারটা এখনও তার কানে ভাসছে। নিম্ফল করুণ ব্যর্থ সেই আর্তনাদ । সাবিত্রীর নিজের জীবনের সব কামনার শতদল কি উওপে বিবর্ণ হয়ে গেছে! সুধাময়ী বলে,-এ ভাবে বসে থাকিবি তুই ? সাবিত্রী মায়ের দিকে চাইল বিষঃ চাহনিতে। তারা যেন করার কিছুই নেই। সব তার ফুরিয়ে গেছে। সুধাময়ী বলে। --তাই বলে ওই নিয়ে বসে থাকলে চলবে? বাঁচতে হবে সাবিত্রী। সাবিত্রীর কাছে সব পথ যেন অন্ধকারে ঢেকে আসছে। সুরও আর বের হয়। না। সব কেমন আর্তনাদ হয়ে ওঠে। কাজলবাবু সুলেখাদির সেই গানের জগতের কথা মনে পড়ে। সাবিত্রী যেন ওখানের হারানো একটি মানুষ। বৈকাল নামছে। স্তব্ধ বাড়িটায় আর সুর ওঠে না। কাজল অনেকগুলো বছর পর এখানে আসছে। আশপাশে নতুন বাড়ি উঠেছে! এর্দো পচা পুকুরগুলোর সংখ্যাও কমে এসেছে। তবু কেমন একটা থমথমে ভাব জাগে । ট্যাক্সিওয়ালা গলির মধ্যে ঢেকে নি। বড় রাস্তায় তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। এই পথটুকু হেঁটেই এসেছে কাজল। সাবিত্রীকে সেই বৈকালের পর আর দেখে নি। সাবিত্রী কি একটা বেদনায় অপমানে মুখ লুকিয়ে সরে এসেছে, নিজেকে যেন নির্বাসন দিয়েছে সাবিত্রী। সুলেখার মনের এই দিকটার পরিচয় পেয়েছে কাজল। সাবিত্রীকে দেখে তাই এড়িয়ে গেছল ওর সামনে, তবুও চেষ্টা করেছে সাবিত্রী যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় তার ଓଁrt!! ! S C