পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুধাময়ী ঘাড় নাড়ে, জানায়--কই বাছা। মহীমবাবুর অফিসেও শুনেছি লোকজন নেয়। একটু বলে দ্যাখে না মহীমবাবুকে । লতিকা নিজেকে কেউকেটা ভাবে। তাই বলে একটু গর্বভরে। --আফিসে অবশ্যি ওকে সবাই মান-খাতির করে। সাহেব তো নিজেই ওকে খুব ভালোবাসেন। দেখবো।-- অমৃত বাড়ি ঢুকছিল, দরজাটা এ বাড়ির খোলাই থাকে। কারণ কয়েক ঘর বাসিন্দা। কে কখন আসে-যায়। তার ঠিক-ঠিকানা নেই। খোলা দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে অমৃত থমকে দাঁড়ালো। লতিকা বীেদির সঙ্গে মা কথা বলছে। মায়ের ওই কথাগুলো শুনতে তার ভালো লাগে না। নিজেদের এই অসহায় অবস্থার কথা অপরকে শুনিয়ে নিজেদের বারবার ছােটাে করতে খারাপ লাগে। অমৃতের। তাছাড়া ওঘরের মহীমবাবুর যে কোন হাতই নেই, সে একটা ব্যাঙ্কের কেরানী মাত্র, এটা মা জানে না। অমৃত জানে সেখানে চাকরীর কথা বলা বৃথা। মুখ বুজে ঢুকলো অমৃত । সুধাময়ী ছেলেকে দেখে বলে। —এতো দেরী হল যে তোর ? কোনো খবর-টাবর কিছু পেলি ? মায়ের এই প্রশ্নটা যেন চিরকালের। ব্যাকুলতা মেশানো প্রশ্ন । অমৃত জানে এ বাড়ির অন্তত ওই একটা মানুষ ব্যগ্রভাবে চেয়ে থাকে তার দিকে, কোন সুরাহা হল। কিনা জানতে চায় সে। কারণ অমৃতের একটা কিছু খবরের উপর এ সংসারের কাটি প্রাণীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। অমৃত জবাব দিল না। কারণ জবাব দেবার মত কিছুই নেই। অবস্থােটা বদলায় f | লতিকাই ফোড়ন কাটে। --তেন্তে-পুড়ে এল। অমু, এখন স্নান-টান করে খেয়ে নিক। তারপর শুধোবেন ওসব কথা । সুধাময়ীর নিজেরও এটা বাধে, ছেলেটার শুকনো মুখ দেখে কিছুটা বুঝে নিয়ে বলে ।


চান-টান করে নো বাছা ।

SR 8