পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তবাবু এই বেঞ্চেই কখন ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। উঠে দাঁড়াতেই দেখেন সামনে দিয়ে দীর্ঘদেহী একটা মানুষ এগিয়ে গিয়ে ওই চেম্বারে ঢুকে গেল তার দিকে না চেয়ে। বসন্তবাবু পিছন পিছন যেতে গিয়েই বাধা পেয়ে থামলেন। ঘুমন্ত বেয়ারা এখন সজাগ প্রহরী হয়ে উঠেছে। সেইই বাধা দেয় কঠিন স্বরে— অন্দর মৎ। যাইয়ে বাবু! ঠারিয়ে। সে দাঁড় করিয়ে দিল বসন্তবাবুকে। এখন সে অন্য মানুষ। বাধা পেয়ে বসন্তবাবু অবাক হন । —রজনীর সঙ্গে দেখা হবে না? বলো—বসস্তবাবু এসেছেন। একটু খবর দাও, জরুরী দরকার। —ফ্রিপ দিজিয়ে । বেয়ারা হিমশীতলভাবে কথাটা জানায়। কেরানীবাবুও এইবার খিচিয়ে ওঠে বসস্তবাবুর ওই প্যানপ্যােনানিতে। --সব সময় যদি ভিড় করেন মশাই ওঁরা কাজ করবেন। কখন ? বসন্তবাবু চুপ করে থাকেন। ওই অপমান সয়ে। বসন্তবাবুর স্ক্রিপটা নিয়ে ভিতরে গেল বেয়ারা দয়া করে। বসন্তবাবুরই গরজ তাই দাঁড়িয়ে রইলেন তিনি ওদের কথাগুলো শুনেও । মনে হয়। রজনী তার নামটা দেখে এখুনিই ডাকবে তাকে, আর বাসস্তবাবুও দেখিয়ে দেবেন। যে সে লোক তিনি নন। আজকের ওই কর্তা-ব্যক্তি রজনীবাবুকেই তিনি বিপ্লবের মন্ত্রে দীক্ষা দিয়ছিলেন, তার গুরু। তিনিই। বসস্তবাবু দাঁড়িয়ে আছেন চুপচাপ। কোথাও কোন সাড়া নেই। বেয়ারা বেশ কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বলে। --আজি টাইম নেহি হ্যায়। দুসর রোজ আইয়ে। বসন্তবাবু চমকে ওঠেন, সব আশা ব্যর্থ হয়ে গেল। --- এ্যা। মানে রজনীকে বলছে তুমি! ও বাবা ? বেয়ারা জবাব দিল না। ও ফাইল-পত্র নিয়ে অন্য দিকে চলে গেল। বাসস্তবাবুর সেই আশার রঙীন বেলুন চুপসে গেছে। বসন্তবাবুর মনে হয় তাক ঘাড়ে কে যেন একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চায়। এখান থেকে। চুপ করে দাঁড়িয়ে কি ভাবছেন। সেদিনের রজনী আজ অনেক উপরে উঠে গেছে, কোনদিন বাসস্তবাবু তাকে এই ミbr