পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে স্কুলে ফ্রিশিপের ব্যবস্থা করেছিলেন তার খেলাধূলা দেখে। আজ সে কত বদলে গেছে। তবু পটল চিনেছে তাকে। •}ळ दल } --কতো দিন পর দেখা । সব কেমন ওলট-পালট হয়ে গেল । বসন্তবাবু শুধোন খুশীভরে। —ভালো আছিস তো? খবর-সবার ভালো ? কি করছিস ? ওকে ‘তুই’ তুই বলতে আজ দীন বসন্তবাবুর বাধে। পটল জানায় নম্রভাবে। —চলছে কোনরকমে। চলুন-কতোদিন পরে দেখা, কথাবার্তা বলা যাবে। উঠুন গাড়িতে, আজ ছাড়ছি না। স্যার। বসন্তবাবুর খেয়াল হয় তার মাপা সময়। এই বয়সেও তীর সকল সন্ধ্যায় দু’চারটে ছাত্রকে পড়াতে হয়। শরীরে সয় না, তবু উপায় নেই। না হলে সংসার অচল হয়ে যাবে। ওই সব কাজের জন্য এখনও তার অবসর মেলে নি। মাঝে মাঝে পরীক্ষার আগে দুপুরবেলাতেও খাওয়া দাওয়া সেরে ছাত্রদের নিয়ে বসতে হয়। তখন মরশুমী ছাত্র কিছু আসে, আর বাসস্তবাবুর সুনাম আছে যে তিনি অঘা-বঘা মার্ক ছেলেদের নিদেন তিন নম্বরেও উৎরে দেবার গুপ্তমন্ত্র কিছু জানেন। তাই সম্বল করে সংসারসমুদ্রের টাল মািটাল তুফান পাড়ি দিয়ে চলেছেন এখনও। তাই বসন্তবাবু বলেন পটলকে । —কিন্তু সন্ধ্যার পর যে আবার টুইশানি আছে বাবা। পটল অবাক হয় ওঁর কথায় । সে জানায় । —এখনও ওইসব কম্মো করতে হয় ? রিটায়ার করেন নি ? চলুন, ওসব হবে খন | হাসলেন তিনি, বসন্তবাবুর মলিন বিষন্ন হাসিতে নীরব হতাশার বেদনাই ফুটে ওঠে। তার জীবনে বিশ্রাম কোনদিনই মেলে নি। আজও তার কোনো আশ্বাস নেই। বলেন তিনি। --টেকি স্বগগে গেলেও ধানই ভানবে পটল। তাছাড়া সংসার চলবে কি করে? অমৃত বি-কম পাশ করল অনার্স নিয়ে, এখন ফ্যা ফ্যা করে ঘুরছে। আর ছোট ছেলে অশোক এখন থেকেই পড়াশোনা ডকে তুলে নেতা হবার জন্য ঘুরছে। মেয়েটার বিয়েথাও দিতে পারলাম না। সব তো ছত্রভঙ্গ হয়ে রইল। ७ाifi 9; ##-- ७ VS) (S.)