পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-ওই ছবিটা দেখেছে ? আমি তখন জলপাইগুড়ির ফাস্ট মুনসেফ। ফেয়ারওয়েলের ছবি। ওটা দেখছো মেদিনীপুরের সাব ডিভিশনাল হেড হয়ে যাবার সময়ের রিসেপশনের ছবি। ওপাশে ইন দি চেয়ার রয়েছেন মিঃ লকহার্ট, খাস বিলেতী সাহেব। এ ম্যান অব আইডিয়াজ । অমৃত ঘাড় নাড়ছে। রাত্রি এর মধ্যে ফিরে এসে পরিচয় করিয়ে দেয় ওর বাবার সঙ্গে অমৃতের। -আমার বাবা। রিটায়ার্ড গেজেটেড অফিসার। আর ড্যাড-ইনি অমৃতবাবু। অনার্স নিয়ে পাশ করেছেন-কমার্সের ব্রিলিয়াণ্ট ছাত্র। হাসল অমৃত। ওই পরিচয়টা আজ ব্যঙ্গের। সে জানায়। --বর্তমানে বেকার। অসিতবাবু চুরুট দীর্ঘ টান দিয়ে বলেন একটু থমথমে স্বরে। —আমাদের আমলে এসব ছিল না। তখন ব্রাইট ইয়ং বয়েজদের জন্য ছিল গোল্ডেন কেরিয়ার। আমিই কেরিয়ার স্টার্ট করেছিলাম এ্যাজ এ ক্লার্ক এণ্ড রোজ আপটু ক্লাস ওয়ান গেজেটেড। বুঝলে ইয়ংম্যান আজকের দিনের ছেলেদের সেই সাধনা নেই। আর ওপরের তলার লোকদের নেই নিষ্ঠা। সব তাই ভেঙ্গে পড়ছে। রাত্রি বাবার দিকে চেয়ে থাকে। অমৃত চুপ করে ওঁর কথা শুনে চলেছে। রাত্রি বাবাকে থামাবার চেষ্টা করে। জানে বাবা এইবার কথা শুরু করবে। আর তাকে থামানো যাবে না। তাই বলে । —-ড্যাডি তোমার ওষুধটা খাবার টাইম হয়ে গেছে। ভদ্রলােক একা থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন। —হােক। বুঝলে অমৃত, তুমি বলেই ডাকছি। কিন্তু, আমার আবার দীর্ঘদিন ওই সব পোস্টে থাকার ফলে “তুমি’ বলাই স্বভাব হয়ে গেছে। অমৃতও দেখেছে রাত্রির কুষ্ঠিত ভাবটা। তার এই সংশয় কাটাবার জন্যেই বলে ওঠে অমৃত। --না, না। তুমিই বলবেন আমাকে। —দ্যাটস লাইক এ গুড বয়। হাঁ, সেদিন আমি ছিলাম অনেকের কাছে টেরার। দুদে অফিসার। আর ছেলেরা যারা তখন স্বদেশী করতো। অসিত দত্তের নাম শুনলে, 8A