পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ রাত্রে প্রচণ্ড বােমাবাজী শুরু হলো ! ও পাড়ার দেতে কাশীর দল এাটাক করেছে। চিৎকার চেঁচামেচি । টালির ছাদ ফুটো হয়ে ভেতরে অগ্নিকাণ্ড। শিশু ডুকরে ওঠে কোনো ঘরে। গায়ে লাগল। কিনা কে জানে। এমন ঘটনা নতুন না হলেও, বস্তিবাসীদের অনেকের কাছে ভীতিপ্রদ । এ-পাড়ার ছেলেরাও কতবার ও-পাড়ায় গিয়ে চড়াও হয় । আজ ওরা মণ্ডকা পেয়েছে । খবর নিয়ে নিশ্চয় জেনেছে, এরা অপ্রস্তুত। তবু এপাড়ার দল সাধ্যমতে লড়ে গেল। বেশ কিছুক্ষণ পরে ওরা চলে গেল। মালমশলা ফুরিয়ে গিয়েছিল বোধহয় । চারদিকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক নীরবতা ফিরে না এলেও চেঁচামেচি স্তিমিত হয়ে আসে । দিনের আলো ফুটতে শুরু করে একটু একটু করে। পাড়ার দলের মধ্যে নীচু গলায় কথাবার্তা । তাদের মা-বাবারা এতক্ষণ পরে একজন একজন করে বার হয়ে আসে ঘর থেকে । নানান কণ্ঠে আকুল ডাক-ও শিবু-ও সুখেন-মানিক । ও হারু নিউটনরে-তোদের চোট লাগে নি তো ? ও ঘোেতন— একজন চেচিয়ে ওঠে-স্যাটা-হাবুর লাশ পড়েছে। বস্তিবাসী একজন মহিলা বুক চেপে ধরে আর্তনাদ করে ওঠে-এ্যা। ও আমার হাবুরে—তুই এ কি করলি রে । ন্যাটা-হাবুর লাশ পড়েছিল একটা লাইট পোস্টের নীচে । রক্তাক্তচেনা যায়না । হাবুর মাউন্মদিনীর মতো ছুটে গিয়ে সেখানে আছাড় খেয়ে পড়ে। তারপর মানসিক আঘাত এবং খাদ্যাভাবের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তবে জ্ঞান হারাবার আগে হাবুর মাথা থেকে বেরিয়ে আসা ঘিলু নিয়ে নাড়াচাড়া করেছিল। ধাপার দিগন্ত-বিস্তৃত মাঠ থেকে দক্ষিণের মৃদুমন্দ সমীরণ বইতে থাকে। লাশকে ঘিরে একদল বস্তিবাসী । তাদের এতদিনের নায়কের আজ

  • ,