পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভেদ করে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, মুখখানা ভিজে নরম টসটসে হয়ে গেছে। হাত দুটােয় বৃষ্টিভেজা লতার দাক্ষিণ্য আর ব্যাকুলতা আকাশের কালো মেঘের ছায়া ঘনিয়েছে ওর দু'চোখে । সেদিনের তরুণ ওই সদ্যজােগর সাবিত্রীর দেহের দিকে বিমুগ্ধ চাহনিতে চেয়ে আছে। -এ্যাই! চমকে ওঠে সাবিত্রী। কাজলের চােখে ওই তৃষ্ণার বিচিত্র চাহনি দেখেছে সাবিত্রী, কাজল হাসছে। বৃষ্টির ধারার মাঝে ভিজছে দু’জনে! সাবিত্রী বলে। --বেহায়ার মত কি দেখছো হাঁ করে ? --- তোমাকে । কাজল জবাব দেয় | সাবিত্রীর সারা মনে কি শিহরণ জাগে । বৃষ্টির দাপটে টিনের চালে ঝমােঝম সুর উঠেছে। তার মনে এলামেলো ঝড়ের দোলা। এই সাড়া এর আগে শোনে নি। সাবিত্রীকে ওর কাছে টেনে নেয়। হাঁপাচ্ছে সাবিত্রী ; তার সারা শরীরে কি ঝড় বইছে। একটা বুকচাপা উত্তাপ তার দেহ ছাপিয়ে সাড়া তোলে। নিজের দেহের কোণে কোণে এমনি একটা তীব্র ব্যাকুলতা মেশোনো ছিল তা জানতো না সাবিত্রী। কাজলের মুখটা ওর গালে চেপে বসেছে-জুলে যাচ্ছে তার সারা দেহ, ওই ধারামানেও সেই উত্তাপ কমে নি । --- এ্যাই! না! না! সাবিত্রী কঁপিছে। নিজেকে মুক্ত করে নিয়ে হাঁপাচ্ছে সাবিত্রী দুরে দাঁড়িয়ে। --কি হল ? কাজল ওকে কি বলছে। --ধ্যাৎ! ভারি অসভ্য তুমি! সাবিত্রী হালকা পায়ে বৃষ্টি ছাপিয়ে দৌড়ল। তখনও কাজলের হাসির শব্দ শোনা যায় ওই বৃষ্টির মধ্যে। আজ থমকে দাঁড়ালো সাবিত্রী।