পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিয়েছে। দু’জনের মধ্যে কি যেন ইশারা বিনিময় হয়ে যায। কালো মোটা লোকটার সারা দেহে ইয়া লোম। চোখ দু’টাে লাল। গাড়িটা চলেছে চৌরঙ্গী ছাড়িয়ে ফ্রী স্কুল স্ট্রিট ধরে আরও কোন সরু রাস্তার দিকে । বসন্তবাবু একপাশে চুপ করে বসে আছেন। মোটা লোকটার মুখে বিশ্রী মদের গন্ধ ওঠে। ওর চোখ দু’টাে লালচে। বসন্তবাবু গাড়িটা থামতে দেখে চাইলেন। এদো গলি, দু’দিকে পুরোনো বাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে। পাঁচমিশেলী পাড়া। গাউন পরে মেয়েরা যাতায়াত করছে। কার মদ্যপ কণ্ঠের হল্লার শব্দ ওঠে। বসন্তবাবু ঘাবড়ে যান, শুধোন। —এ কোথায় এলাম সাহেব ? মোটা গোয়ানীজ ভদ্রলোক বলে এদিক ওদিকে চেযে নীচু গলায়। —ডোন্ট ওরি মিষ্টার। সব ঠিক হ্যায়। আই এ্যাম কামিং । ওয়ান মিনিট প্লিজ। লোকটা নেমে একটা ভাঙ্গা পুরোনো বাড়ির মধ্যে ঢুকে গেল। কাদের জড়িত কণ্ঠে হাসির শব্দ শুনে চাইলেন বসন্তবাবু, একটি মেমসাহেবের কোমর জড়িয়ে ধরে চলেছে একটা মাতাল, ঢুলছে দু’জনেই আর হাসছে। দুটাে মুষকে লোক তার গাড়িটাকে সন্ধানী দৃষ্টিতে দেখে ওপাশের দোকানের ধারে চলে গেল, নিজেদের মধ্যে কি বলাবলি করছে তারা। বাসস্তবাবুর ভয় হয়। পাড়াটা মোটেই ভালো নয় তা বুঝেছেন। হঠাৎ দেখা যায়। একজন লোক এসে ওকে গাড়িতে তিনটে প্যাকেট দিয়ে বলে। —বুকস ফর পটলবাবু। গো-গো নাউ। হাঁসিয়ার লোকটা হাওয়ায় যেন মিশিয়ে 〔5问1 মনে হয় ওগুলো যেন পাথরের চেয়েও ভারি, বসন্তবাবুর মনে হয় সকলেই তাকে দেখছে। বই বিক্রী করার জন্য এত গোপনীয়তা কেন-কি বই এমন এসব তা বুঝতে পারেন না। তবু পুলিশের গাড়ি দেখলে বুক কঁপে। কোনরকমে বই-এর প্যাকেটগুলো এনে পটলের চেম্বারের পৌঁছে দিতে পটল খুশী হয়। وداه