পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেয়ের সারা দেহে একটা লাবণ্য ফুটে উঠেছে। সাবিত্রীর মনের গহনের একটা উচ্চাশা-শিল্পীর আত্মসম্মানজ্ঞান ওকে ঘিরে একটা যেন বর্ম রচনা করেছে। সাবিত্রী স্বপ্ন দেখছে---আগামী সপ্তাহে তার প্রথম বেতার অনুষ্ঠান। মাকে বলে কথাটা-রেডিওতে গাইছি মা ! সুধাময়ী অবাক হয়-তাই নাকি রে? ও ভাবতেই পারে না সাবিত্রী সত্যি এসব করতে পারে। বাসস্তবাবু বাড়ি ঢুকছেন। ক্লান্ত। তাছাড়া ওঁর মনের অতলের ভালেমন্দের লড়াই লোকটির বাইবের শাস্তিটুকুও বিঘ্নিত করেছে। সাবিত্রীর দিকে চেয়ে থাকেন। তিনি। মেয়েটির মুখে তৃপ্তির আভাষা। বাইরের সম্ভবনাময় জীবনের আলোর ঝলক তার মনকে কি বিচিত্র আলোর বর্ণালীতে ভরে তুলেছে। বাসস্তবাবু এত অন্ধকারেও সেই আলোটুকুকে দেখে খুশী হন। অমৃত এখনও বঁাচার পথ খুঁজছে। অশোকের কথা মনে পড়ে। গোলমাল এখন চারিদিকে। কোথায় বোমা ফাটার শব্দ আসে। অশোক ঘরছাড়া, BBBB BD DDuD DD ওরা এই সাধনাকে বিশ্বাস করে না। জীবনের সব সুর ওদের কাছে হারিয়ে সুধাময়ী বলে বসস্তবাবুকে । —হাতমুখ ধুয়ে নাও, সাবিত্রী বাবার চাটাও নিয়ে আয় এখানে। এই ছোট্ট ঘরের মোহ-এই মানুষগুলোর জন্য বেদনাবোধ আজ নেই। সাবিত্রী নিজের জগতে হারিয়ে যেতে চায়। রেডিও প্রোগ্রামটা সেদিন আশাতীত ভালো হয়েছে। সাবিত্রী শুনছিল নিজের গলা, সুলেখাদি বলে ওঠে। ওর গান শুনে। —চমৎকার গায়কী তোমার। গলার কাজগুলোও সুন্দর এসেছে। আমারই হিংসে হচ্ছে সাবিত্রী ওই গান শুনে। সাবিত্রী বলে—ঠাট্টা করছে লেখাদি ? 议文