পাতা:আমি শুধু একা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশফুল ফোটা কোন শুভ্র নীলাভ দিগন্তে তার মন উধাও হয় এই সুরের স্পর্শে। এই তার জগৎ--- এখানে সে আনন্দ পেয়েছে। তন্ময় হয়ে গাইছে। সাবিত্রী। সুলেখাদির চেষ্টায় তার গান শুনে সেই ট্রেনার ভদ্রলোক খুশী হন। সাবিত্রী তার নাম শুনেছিল এতদিন। গানের জগতে তিনিও খুব নামী লোক। তবু কতো ভদ্র আর বিনয়ী । তিনিই বলেন সাবিত্রীকে। —ঠিক আছে। দু-একদিন রিহার্সেল রুমে গিয়ে গানগুলো তুলে এনে প্রাকটিস করতে হবে। অবশ্য সুলেখা দেবী আছেন। অসুবিধা হবে না। তারপর শুনে রেকডিং ডেট ঠিক করা যাবে। সাবিত্রী সেই গানগুলো তুলছে। শুধু স্বরলিপিকেই নিখুঁতভাবে গলায় তুলে এ গান সে গাইবে না, তার মনের রূপ-রস-বর্ণ দিয়ে এই বাণী আর সুরকে সে প্রাণবস্ত করে তুলতে চায়। এখন তার অনেক অবসর। স্কুলেও যায় না। আর । সুলেখাদি বাড়িতে নেই, ওর মাকে নিয়ে কোন আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে। ফিরতে বৈকাল হয়ে যাবে। একই সাবিত্রী এ বাড়িতে রয়েছে। তাই গান নিয়ে ব্যস্ত সে। এমন সময় চাকরিটা এসে জানায় নীচে এক ভদ্রলোক সুলেখা দিদিমণির খোজ করতে ५८a6अन८छङा | ፹ সাবিত্রী জানে সুলেখাদির কাছে অনেক অনুষ্ঠানের জন্য বা সিনেমার প্লেব্যাক না হয়। অন্য ব্যাপারে লোকজন আসেন। তাই ওই খবর শুনে হারমোনিয়াম রেখে উঠলো। বলে সে। —তুমি যাও হরিদা, আমি যাচ্ছি। ভদ্রলোককে চা দিয়েছে ? হরিদা ওখানের পুরোনো চাকর। জানায় সে। { { --سم۔ বাড়িটা নির্জন। ওপাশে একটু বাগানমত। সাবিত্রই সেই বাগানে কিছু কিছু গাছপালা লাগিয়েছে। রজনীগন্ধার সবুজ পাতা ছাপিয়ে সাদা ফুলের স্তবকগুলো বাতাসে মাথা নাড়ে। বাড়িটায় নীরব শান্তির আভাষ ফুটে ওঠে। ঘরে ঢুকেই থমকে দাঁড়ালো সাবিত্রী। আর ফেরার পথ নেই। একেবারে ওই ভদ্রলোকের সামনে এসে পড়েছে। অস্ফুট কণ্ঠে সাবিত্রী বলে। --আপনি ? সাবিত্রীর মুখেচােখে ভয় আর বিরক্তির চিহ্ন ফুটে ওঠে। &br