পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. আটলান্টা উইলী বললে, “জিজ্ঞাসা করছিলাম এরা কবে মরবে?” —এরা কি মরতে চায় বস, একেবারে রক্তবীজের বংশ। আমেরিকা শিশু হলে কবে মরে ভূত হয়ে যেত, কিন্তু এরা যে নিগ্রো। জল খেয়ে প্রায় দু সপ্তাহ বেঁচে আছে। পটাশিয়াম সাইনেড দিলেই ভাল হয়, এদের সংখ্যা যত কমে ততই আমার মন খুসী হয়। | সবই হয় ব, তবেইত বক্সের সংখ্যা বাড়ে না, নতুবা এখানে এদের রাখবার যায়গা হত না। উইলী একটু ধৈর্য ধরে বললে, “আমার মতে পটেসিয়াম সাইনে, ভাল। আমরা তাই ব্যবহার করি মেম্, আমাদেরও একটা শূয়ারের খোয়াড় আছে। আজকাল নিগ্রোদের মানুষ বলেও ঘৃণা হয়, এদের শূয়ার বলাই ভাল, কি বলেন মেম্। আমেরিকা না বললে আমিও তাই বলি। এদেশে যতগুলি নিগ্রো নাস আছে তারা আমার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখে সেজন্যই বিষ-প্রযােগে বাধা পাই । নিগ্রো শিশুদের খরচ বাবদ যা খরচ করা হয় তা দিয়েও নিগ্রোরা শিশু নিয়ে যায়। একেত নিজে খেতে পায় না তারপরে শিশুদের নিয়ে যায়, কি জানি কি খাইয়ে মানুষ করে ? ওরা বাতাস খেয়েও বাঁচে বস। মানুষ ত নয়, একেবারে বনমানুষ, কি শক্তি রাখে, ভাবলেও মাখা খারাপ হয়। এখানে গড়পরতা কত নিগ্রো শিশু হত্যা করা হয় উইলী জিজ্ঞাসা করলে? | দৈনিক একটা ত হয়ই, সুযােগ পেলে দুটাও হত্যা করা হয়, আমেরিকান্ নাস আনন্দের সহিত বললে। তাই করুন নার্স, উইলী-আত্মগােপন করে বললে। অরফে হাউস থেকে বের হয়ে উইলী চোখের জল আর রাখতে - ।