পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আটলান্টা ১০৫ লিঞ্চের কথা তখন অনেকে নিগ্রো পত্রিকা কিনতেও ভয় পায়। বুঝলে মা ধর্ম অবাস্তব, অর্থাৎ বাজে, নিগ্রো লিঞ্চ, নিগ্রোর উপবাস, নিগ্রোর অর্ধাশন, নিগ্রোর নির্যাতন এসব ঘটছে এবং এসব হল বাস্তব। বাস্তব কথা লােককে জানানােই ছিল নিগ্রো পত্রিকার উদ্দেশ্য, কিন্তু এবার আমরা বাস্তব পরিত্যাগ করে জাতকে আরও কলুষিত করতে বসছি, তােমার কি তাই ভাল লাগে ? কেন ভাল লাগবে? আমি বাস্তব চাই, তাতে যদি তুমি আমি এতনী সব মরি ক্ষতি নেই ম্যাক, আমার মন শক্ত হয়েছে। তােমার মত কত যুবক বিপথগামী হয়ে ক্ষয় রােগে আক্রান্ত হচ্ছে তা ত ঘরে ঘরে দেখছি। এদের যদি বাচাতে হয়, ভবিষ্যতের বংশধরদের যদি রক্ষা করতে হয় তবে কষ্ট হবে সত্য কথা, কিন্তু আনন্দ হবে ভবিষ্যতের বংশধরদের হাসিমুখ চিন্তা করে। নিগ্রোকে বাজে সংবাদপত্রে পরিণত করা কোন মতেই ভাল দেখায় না। আমি যদি শুধু নাম লিখতে পারতাম তবেই সম্পাদিকা হতে রাজি হতাম। আমি নামও লিখতে জানি না, এখন কি করতে হবে বল ? | আমি যদি সম্পাদক হই তবে কেমন হবে মা? কি হবে ম্যাক, কিছুই হবে না, তােমাকে লিঞ্চ করবে এই ত বলতে চাও? আমি একটুও দুঃখিত হব না, ঘরে ঘরে নিগ্রো লিঞ্চ হচ্ছে, তুমিও না হয় তাদেরই একজন হবে। ভেব না আমি ভীত হব, কাল হতে তুমি সম্পাদকের কাজ করবে। কালকের প্রবন্ধে তুমি লিখবে কি করে লিঞ্চ করা হয় এবং যতদিন তুমি বেঁচে থাকবে প্রত্যেক দিন লিঞ্চ সম্বন্ধে একটা করে প্রবন্ধ লিখবে। | এসব কথা আমার কাছে বলতে ত হবে না মা, জুফ্রে, উইলী এনূতনীর কাছে বলতে হবে, তবে ত কাজ হবে। |