পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মত লাভ মনুষ্যত্ব লাভ : ১৯ ছােট ছােট খরগােসের বাচ্চা লাফা-লাফি করছিল। জল কুল কুলু রবে বয়ে যাচ্ছিল। জল স্বচ্ছ। দেখা মাত্র ইচ্ছা হচ্ছিল কিছুটা খেয়ে নেই। জল ছুয়ে দেখলাম বরফের মত ঠাণ্ডা। গরুর মত মুখ দিয়ে জল খেয়ে এনীকে জিজ্ঞাসা করলাম, “বল বন্ধু, কি করতে চাও ?* | আরও দূরে যেতে হবে, বন্ধু। আমাদের একটি আডডা আছে, সেখান থেকে আমি বই পাই। দেখে যাও আমাদের আড়া। শয়তানের বাচ্চারা যদি কখনও আক্রমণ করে এবং প্রাণ বাঁচাতে চাও, তবে আজ্ঞায় আসলেই প্রাণ বাঁচবে। এখানে আমেরিকার অফিসিয়েরা পর্যন্ত আসতে ভয় পায়। আড্ডা দেখে নাও, আজ আমাদের বােনদের দুর্দশা দেখেছ। এরূপভাবে তারা প্রায়ই নির্যাতিত হয়। তুমি ঘরে থেকেও দেখ না, চোখ ঢেকে রাখ। আজ সাহস করে দেখেছ। আজ তুমি মানুষ হয়েছ। জেনে রাখো, আমাদের মায়ের প্রত্যেকে এমনি ভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন। আমাদের জন্ম নির্যাতনের মধ্যেই হয়েছে। আমরা নির্যাতনকে ভয় করব কেন? আমরা নির্যাতনকে তাড়াব। আমাদের সমাজ থেকে নির্যাতন বহিষ্কার হবে, পৃথিবী থেকে হবে, নির্যাতনের নাম থাকবে না। নির্যাতন শব্দ লােপ পাবে, তবেই হবে আমাদের সত্যিকারের সার্থক । আরও একটু দূরে পাহাড়টা একেবারে সােজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার পায়ের জুতাে পাহাড়ে পথে চলার পক্ষে একেবারে অনুপযুক্ত, তবুও চললাম। খালি পায়ে হাটৰ তাতে কি হয়েছে? পা ছিড়ে রক্ত বের হবে, হউক। আমার রক্তে পেছন দরজার পাহাড় ভেসে যাক। আমরা মুক্ত হব। এতদিন কাপুরুষ ছিলাম। শুয়ােরের মত রক্তের ל