পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনুষ্যত্ব লাভ ২৩ মিনিট পূর্বেও মরিসনের কথা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কর্তব্য পালনের জন্য যে যা করে করুক। তবে কথা হল ভদ্রতার দিকেও তাকাতে হবে। যদি সেই লেখক বেঁচে থাকতেন, তবে এক দিন তার বাড়ীতে অন্তত দুটা আপেলও দিয়ে আসতাম। ঐ তার গ্রাম, এই গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন, এই গ্রাম দেখলেই হাট মাথা হতে নামাতে হবে, এসব আমার কাছে ভাল লাগে না। এসব বাজে কথা ছাড়াে এন্তনী। কাজের কথা ভাব। আমি ত ভাবছি যদি তােমাদের, পড়বার ঘরটা ভাল লাগে, তবে সেখানেই থেকে যাব এবং প্লান করে কাজ করব। তােমার মার কি হবে ম্যাক, তিনি যে শুধু তােমার মুখ চেয়েই বেঁচে আছেন? রেখে দে এসব বাজে কথা, হাজার হাজার মা নির্যাতিত হচ্ছেন। তাদের মুক্তি সংগ্রামে যদি প্রাণ যায় তবেই হবে আমার জীবনের সার্থকতা। আমার মায়ের বয়স হয়েছে, কেউ তার দিকে ফিরেও তাকাবে না। যতদিন তার শরীর চলবে ততদিন দুটুকরা রুটির সংস্থান হবেই। আমি মরে গেলে আরও বেশী করে রুটি খেতে পারবেন। তুমি মনে করাে মায়েদের ক্ষুধা নেই—বেশ আছে—কিন্তু ছেলে পিলে কাছে থাকলে মা-রা ছেলেপিলের মুখেই রুটির টুকরা আগে দেন। এটা হল তাদের স্বভাব-ধর্ম। আমি মরে গেলে ত আমার মায়ের আরও ভাল হবে। হ্যা, ম্যাক এরই মধ্যে তােমার এত বুদ্ধি কোথা থেকে এল? দরকার এত বুদ্ধি এনে দিয়েছে, মনে রাখি শুধু দরকার। " পথের শেষ হল, কিন্তু কোনও ঘর দেখতে না পেয়ে একটুও ঘাবড়ালাম না। এ সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন করলাম না। এখন থেকে প্রশ্ন করার প্রবৃত্তি অনেক কমে গেছে। এতনী আগে চলছিল আর আমি