পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমেরিকার নিগ্রো নিগ্রোদের মঙ্গল সাধনের জন্য নানা মত ও পথ শিখতে পারব, কিন্তু এসবে কি কোন লাভ হবে? আদাদের ঘরের পেছনে এত বড় পাহাড় রয়েছে আমি জানতাম না। আমেরিকা দেশটা কত বড় এখন অনেকটা ধারণা করতে পেরেছি। আমাদের প্ল্যান করতে হবে কি করে নিগ্রোর জীবন কাটাতে পারে; এখন আমােদ আহলাদ করে অথবা বই পড়ে সময় কাটালে চলবে না; এখনই ঘরে চল। আজ রাত্রে আমরা একটি সভা করব। আমাদের অবস্থা নিয়ে আলােচনা করব। দেখব আমাদের মায়েরা কি বলেন। অনেকের আবার বাবাও আছেন। বারাদেরও সভায় ডাকব মনে করছি। কার কার বাবা আছে ম্যাক ? কেন, অনেকেরই আছে। এরা কারাে বাবা নন্ ম্যাক, মায়েরা বলেন এরা তাদের স্বামী, সেজন্য আমরা তাদের বাবা বলি, প্রকৃতপক্ষে এরা মনিবের গােলাম। মনিব যাকে যার ঘরে থাকতে দিয়েছেন তিনিই হয়ে গেছেন মায়েদের স্বামী। প্রকৃত পক্ষে এক জোড়া ভেড়াকে যদি একটি ঘরে রাখা যায়, তাতে যা হয় আমাদের বেলাও তাই হয়েছে। সেজন্য দুঃখ করে কোন লাভ নেই, যাতে এরূপ আর না ঘটে তারই ব্যবস্থা করতে হবে। সবই বুঝলাম ; এবার কাজ করতে হবে এন্তনী। এক দিনেই এত পরিবর্তন তােমার হয়ে গেল ম্যাক। লক্ষণ ভাল নয় দেখছি। তুমি হয়ত তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে পড়বে। আরও একটু দেখে নাও, তারপর সভা সমিতি করো। মাত্র ব্যাক হিল দেখেছ, আরও পাহাড় পর্বত আছে, আরও লােকালয় আছে, আরও নিগ্রো নিবাস আছে। আজ ঘরে যেয়ে মাখা স্থির করে পৃথিবীর একখানা মানচিত্র দেখে, তারপর পৃথিবীর অবস্থা জানার জন্য ভূগােল দেব, সেটা

1 T