পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমেরিকার নিগ্রো | রুটিটা ফেরত দেব ভাবছিলাম, কিন্তু জুরে কথা শুনে ফেরত দিতে ইচ্ছা হল না। তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে ঘরে ঢুকলাম। মা আলু সিদ্ধ করছিলেন। উনুনের দিকে দৃষ্টি রেখেই বললেন, “বস জুফেকে বলে আসছিলাম একটি রুটি পাঠিয়ে দিতে, এখনও তার চাকর আসেনি, যা রুটিখানা নিয়ে আয়।” ফরাসীদের রুটি “অমৃত সমান।” রুটি কাগজে মােড়া ছিল। কাগজটা খুলতেই এমনি একটি সুন্দর গন্ধ বের হল যার সুগন্ধে ক্ষুধা আরও বেড়ে গেল। পাহাড়ে গিয়েছিলাম, পরিশ্রান্ত হয়েছিলাম, তারপর রুটির সুগন্ধে সবই ভুলতে হয়েছিল। মাকে তাড়াতাড়ি করে টেবিল সাজাতে বলেই হাত মুখ ধবার জন্য এক বেসিন গরম জল নিয়ে বাইরে চলে গেলাম। যখন হাত মুখ ধুচ্ছিলাম, তখনও যেন রুটির গন্ধ নাকে লেগে রয়েছিল। খেতে বসে মাকে বললাম, “রুটি শ্বেতকায় টেবিলের শােভা বর্ধনের জন্য রাখে, খায় অন্য কিছু, সেই রুটির গন্ধে আমরা অস্থির হই অথচ পাই না। বল মা এই রুটি পাবার জন্য, এই রুটি সকলকে পাওয়ার জন্য যদি প্রাণ বিসর্জন দিই তবে দুঃখ করবে না ত?” | সেটা আর বলতে আছে। তাের জীবনের বিনিময়ে যদি সকলে রুটি পায়, ঘরে থাকতে পায়, শীত হতে পরিত্রাণ পায়, তবে দুঃখের চোখের জলের বদলে আনন্দাশ্রু বইবে ম্যাক! আমরা ত মেয়ে মানুষ। আমাদের বেঁচে থাকারও কোন মানে হয় না।