পাতা:আমেরিকার নিগ্রো - রামনাথ বিশ্বাস.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩ আটলান্টা নিগার, এদিকে তাকাস নে, তােদের বংশবৃদ্ধি করা হচ্ছে।” তাকাবার মত মনােবৃত্তি কারো ছিল না। এতনী এবং ম্যাক মাথা নত করে চলছিল। চলার প্রথম ভাগেই একটা দুর্ঘটনা দেখে সকলের মনই দুঃখিত হল। এর কি প্রতিকার সে কথাই সকলে চিন্তা করছিল কিন্তু প্রতিকারের উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না। এ সবের প্রতিকার তাড়াতাড়ি চাই নতুবা নিগ্রো জাত লােপ পাবে, এই ছিল তাদের আশঙ্কা। একই চিন্তা তিনজনের মাথায় একই ভাবে ক্রিয়া করছিল। সমালােচনা করার মত মন কারাে ছিল না, শুধু পথ চলারই ক্ষমতা ছিল। তারা পথ চলছিল চিন্তাশূন্য হয়ে। | এইদিকের হাইওয়ে বড়ই সুন্দর। হাইওয়ের দুইদিকে ফুটপাতও ছিল। এরা ফুটপাথ ধরে চলছিল। দিনের বেলায় নিগ্রোদের হাইওয়েতে চলার অধিকার নাই। যদি কেউ সাহস করে পথ চলে এবং কোনও শ্বেতকায় দেখতে পায় তবে অমনি তাকে ধরে নিয়ে কোনও কাজে লাগিয়ে দেয়। সেই কাজের জন্য মজুরী কয়েক টুকরা রুটি। কাজ করতে যদি কেউ আপত্তি করে তবে হয় লিঞ্চ নয় এমনি ভাবে অত্যাচার করা হয়, যাতে অনেকেরই হসপিটাল যাবার পথে মৃত্যু হয়। সেইজন্যই নিগ্রোরা রাতে পথ চলতে পছন্দ করে। | উইলী ম্যাককে বললে, “ওরে হারামীর বাচ্চা, কাম রিপুরও দরকার আছে জেনে রাখিস। কামের সংগে ক্রোধের নিকট সম্বন্ধ। যাদের কাম নাই তাদের ক্রোধও থাকে না। ক্রোধের সংগে ব্যক্তিদের অস্তিত্বের নিকট সম্বন্ধ রয়েছে। শ্বেতকায় মানুষ, সেজন্য তাদের যেমন কাম, তেমনি ক্রোধ এবং সেই সংগে ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তাের কামও নেই, ব্যক্তিত্বও নেই, বুঝলি?