পাতা:আমোদ - রসময় লাহা.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه /وه কাদাইতে যত ব্যগ্র, হাসাইতে তত নহে । ব্রাহ্ম ংগীতের মত গম্ভীর সাজিবার ইচ্ছা বোধ হয় অনেকেরই । তবে গম্ভীর না হইলে যে গভীর হয় না তাহা ত নয়ই ; পরন্তু গম্ভীরতার অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়াসে হাস্যেরই উদ্দীপন করে । পুরাতন বঙ্গসাহিত্যে হাস্যরস ছিল । জীবনের সমগ্রতা লইয়া কাশীরাম, কৃত্তিবাস, মুকুন্দরাম প্রভৃতি প্রাচীন কবিগণ র্তাহীদের বিষয়ের অবতারণ করিতেন । হাস্য মনুষ্যজীবনের একাংশ,—একটি প্রধান অংশ ; কেন না মনুষ্যেতর প্রাণীগণের মধ্যে অথবা সভ্যতায় হীনবস্তু কোন কোন মনুষ্যজাতির মধ্যে, হাস্য প্রকট নহে । সুতরাং সমগ্র জীবন সমন্বিত কাব্যে হাস্যরস থাকিবারই কথা । কিন্তু সে হাস্যরস জীবন হইতে বিচ্ছিন্ন নয় ; তাতারই একাংশ । কোন বিশেষ কল্পিত ঘটনার সমাবেশের উপর কোন বিশেষ মানসিক ভাবের উপর, কোন বিশেষ বাক্য বিদ্যাসের উপর যে হাস্যরস নির্ভর করে তাহ সাহিত্যের evolution এর পরিচয় দেয়। সমগ্রতা হইতে বিশেষত্বের অভিব্যক্তিই evolution, সামাজিক অথবা নৈতিক বিপ্লবের অবশ্যম্ভাবী অসামঞ্জস্য এই বিশেষত্বের সহায়তা করে । বর্তমান বাঙ্গালীর জীবন এই অসামঞ্জস্যে পরিপূর্ণ। তাহারই ফলে দ্বিজুবাবুর বিখ্যাত