পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ܬ ) মতান্তরে স্বর্ণসিন্দূর বা মকরধ্বজ প্রস্তুত করণ । স্বর্ণাসিন্দূর বা মকরধ্বজ প্রস্তুত সম্বন্ধে শাস্ত্রে মতান্তর দৃষ্ট হয়। আমরা যে মত এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়াছি, উহাই সহজ, চারি প্রহরে প্রস্তুত হয় । প্রত্যুষে ছয়টার সময় চড়াইলে সন্ধ্যা ছয়টার সময় বা একটু অগ্রপশ্চাৎ উহার পাক শেষ হয়। এই নিয়মে মকরধ্বজ পাক করিতে হইলে, একখণ্ড খড়ীদ্বারা বোতলের মুখ রুদ্ধ করিতে হয়, তৎপরে বোতলের মধ্যস্থ কাজলী যখন গলিতে আরম্ভ হয়, তখনই ঐ খড়ী আপনি উঠিয়া যায়, কিন্তু জাল মৃদু হইলে আপনি উঠিয়া যায় না, খড়ী খুলিয়া ফেলিতে হয় ; তখন দেখা যায় কজ্জলী গলিয়া বোতলের গলায় সংলগ্ন হইয়াছে ও সেই জন্য বোতলের মুখ রুদ্ধপ্রায় হইয়াছে, তখন একটি লৌহশিলাকা (হুকারশালা) আগুণে পোড়াইয়া বোতলের গলা পরিষ্কার করিয়া দিতে হয়, মধ্যে মধ্যে এইরূপ করিলেই চারি প্রহরে বা বারো ঘণ্টায়ই উহার পাক সমাধা হয়, এই সহজ মতই আমরা এই গ্রন্থে লিখিয়াছি, কিন্তু এতদ্ব্যতীত আরও তিন প্রকারে মকরধ্বজ। পাক করা যায়। ১ । আট প্রহরে বা এক দিন এক রাত্রিতে পাক ৷৷ ২ ৷ বারো প্রহরে বা দুই দিন এক রাত্রিতে পাক ৷৷ ৩। ষোল প্রহরে বা দুইদিন দুই রাত্রিতে পাক । এই তিন প্রকার মকরধ্বজ পাক করা অত্যন্ত কঠিন, ইহাতে যেমন অর্থব্যয়, তেমনি পরিশ্রম, তাহার পর যার জন্য এত অর্থব্যয় ও পরিশ্রমস্বীকার, তাহ প্রস্তুত হইবে কি না তাহারও কোনই স্থিরতা নাই, কারণ সাধারণ মকরধ্বজের প্রস্তুতপ্রণালী আমরা যাহা লিখিয়াছি, তাহাতে বোতলের মুখের ছিপি উঠাইয়া ফেলিতে হয়, সুতরাং বোতলের মধ্যে অনায়াসে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা যায় ও পাক নিম্পন্ন হইল কি না, অনায়াসে বুঝিতে পারা যায় ; কিন্তু এই তিন প্রকারে মকরধ্বজ পাক করিতে হইলে এমন ভাবে বোতলের মুখ রুদ্ধ করিতে হয়, যেন কোনও প্রকারে ছিপি উঠিয়া যাইতে না পারে ; সুতরাং পাক সমাধা হইল কি না তাহা বুঝিবার কোনও উপায় থাকে না, কেবল নির্দিষ্ট নিয়মে জাল দিয়া হাড়ী নামাইতে হয়। বিশেষতঃ উহাতে বোতলের মুখ রুদ্ধ থাকে বলিয়া সময় সময় বোতলের ছিপি উঠিয়া যাইতে দেখা যায় বা ছিপি উঠিতে না পারিলে বোতল কিঞ্চিৎ উপরে উঠিয়া পড়ে অথবা বোতল ফাটিয়া যায়, কারণ মুখ রুদ্ধ