পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( so ) থাকায় বোতলের মধ্যস্থ ধূম নিৰ্গত হইতে পারে না। এই সকল কারণে ঐ নিয়মে তিন চারি বার মকরধবজ পাকের চেষ্টা করিয়াও একবার কৃতকার্য্য হওয়া কঠিন। কিন্তু বোতলের মুখ খোলা থাকিলে, ঐ সকল অসুবিধা কিছু মাত্র ভোগ করিতে হয় না। অথচ পাক সম্বন্ধে স্থির নিশ্চয় হওয়া যায়, এই জন্যই আমরা সহজ মত লিপিবদ্ধ করিয়াছি। এতদ্ব্যতীত আরও দুই প্রকার মকরধ্বজ আছে, যথা—“-ষড়গুণ-বলিজারিত মকরধ্বজ ও সিদ্ধ মকরধ্বজ, ইহাদের পাকের বিধান নিয়ে দ্রষ্টব্য । ষড়গুণ-বলিজারিত মকরধ্বজ । একটি বালুকপূর্ণ হাড়ীর মধ্যে একটি মাটীর পাত্র রাখিয়া চুল্লীর উপর স্থাপন করিবে, তৎপরে যে পরিমাণ পারদ দ্বারা মকরধ্বজ প্রস্তুত করিতে হইবে, সেই পরিমাণে পারদের সমান গন্ধকচুর্ণ উক্ত মাটির পাত্রে প্রদান করিবে এবং উহা গলিয়া তৈলের ন্যায় হইলে তাহাতে সেই পারদ নিক্ষেপ করিবে । এইরূপে ক্রমশঃ পারদের ছয়গুণ গন্ধক দেওয়া হইলে ও তাহা হইতে ধূমনিৰ্গম রহিত হইয়া আসিলে হাড়ী নামাইয়া ঐ পারদ বাহির করিয়া লইবে । এইরূপে শোধিত পারদ আট তোলা ও স্বর্ণের সূক্ষ্ম পাত এক তোলা একত্র মর্দন পূর্ব্বক উহার সহিত আট তোলা গন্ধক মিশ্রিত করিয়া কাজলীকরত স্বর্ণাসিন্দূরের ন্যায় চারি প্রহর পাক করিবে । সিদ্ধমকরধ্বজ। বিশুদ্ধ পারদ ৮ তোলা ও বিশুদ্ধ স্বর্ণের সূক্ষ্মপাত ৪ তোলা একত্র মর্দন পূর্বক মিশ্রিত হইলে তাহার সহিত বিশুদ্ধ গন্ধক ১৬ তোলা মিশাইয়া আটপ্রহর মর্দন করতঃ কজলা করিবে, তৎপরে শ্বেত অঙ্কোট অর্থাৎ ধলা আঁকড়া। ফলের রস, রক্তকার্পাস ফুলের রস ও ঘৃতকুমারীর রস দ্বারা ঐ কাজলী পৃথক পৃথক মর্দন করিয়া শুষ্ক করিবে, পশ্চাৎ বোতলের মধ্যে স্থাপন করিয়া মকরধ্বজের ন্যায়। চারি প্রহর পাক করিবে ও পাক শেষ হইলে নামাইয়া স্বর্ণাসিন্দুর গ্রহণ করিবে। এই স্বর্ণাসিন্দূরের সহিত পুনর্ব্বার দ্বিগুণ গন্ধক মিশ্রিত করিয়া কজলীকরতঃ পূর্বোক্ত তিনটি দ্রব্যের রসে মর্দন পূর্বক শুষ্ক করিবে ও বোতলের মধ্যে স্থাপন পূর্বক পুনর্ব্বার চারিপ্রহর পাক কৱিবে । এইরূপে আরও একবার পাক করিলে সিদ্ধমকরধ্বজ প্রস্তুত হয় ।