পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Sy আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা। আভ্যন্তরিক ঔষধ রোহিত্যকলৌহ, লোকনাথরাস, যকৃদরিলৌহ বা প্লীহার্ণব রস প্রভৃতি প্রয়োজ্য, ঐ সঙ্গে জ্বর প্রবল থাকিলে জর্যন্ত্র ঔষধ যথা –পুটপক বিষমজরান্তকলৌহ, বৃহৎ জরান্তকলৌহ বা সর্ব্বজরহারলৌহ প্রভৃতি বিবেচনা পূর্বক সেবন করান আবশ্যক ; শোথ দৃষ্ট হইলে অগ্নিবৰ্দ্ধক ও ধারক ঔষধ যথা-ক্র্যষণাদ্যলৌহ, কটকাদ্যলৌহ ও শোথিকালানল প্রভৃতি এবং মাণমণ্ড পথ্য প্রদান করিবে। বেদনার জন্য সাধারণতঃ শূলহরণযোগ ও শঙ্খাদিচুর্ণ ঔষধ ব্যবস্থা করা যাইতে পারে। যকৃৎ বৃদ্ধি বশতঃ ঐ বেদনা, পাশ্ব, হৃদয় ও কুক্ষিদেশে ধাবিত হইলে এবং কোষ্ঠবদ্ধতা থাকিলে বৃহৎ মণকাদি গুড়িকা, অভয়ালবণ প্রভৃতি ঔষধ প্রয়োগ করিবে । প্লীহা ও যকৃৎরোগে কোষ্ঠবদ্ধতা । প্লীহা ও যকৃৎরোগে রোগীর কোষ্ঠবদ্ধতা থাকিলে বেদনার হ্রাস, বৃদ্ধি বা অভাব অনুসারে প্রত্যেক অবস্থায় তীব্র বিরোচক প্লীহারি রস (মতান্তরে ) ও প্রাণবল্লভরাস প্রভৃতি ঔষধ। সপ্তাহে ২ । ১ দিন সেবন করাইবে । (৩) যকৃৎ ও প্লীহারোগে পাণ্ডুতা। পিত্তাধিক্যবশতঃ শরীর, চক্ষু ও মুখ প্রভৃতি পাণ্ডু বা হরিদ্র্যাবর্ণ হইলে, যকৃৎস্থিত পিত্তের বিকৃতি বুঝিতে হইবে, এইরূপ অবস্থায় পিত্তশাস্তিকর নবায়সলৌহ ও দার্ব্যাদিলৌহ প্রভৃতি সেবন করাইবে, যেহেতু ঐ সকল ঔষধ রক্তবৰ্দ্ধক অথচ পাচক এবং পিত্তশান্তিকর ; কোষ্ঠবদ্ধতা থাকিলে পাণ্ডু ও কামল রোগে সপ্তাহে ১ দিন বা ২দিন তীব্র বিরোচক ঔষধ সেবন করাইবে, প্লীহা ও যকৃৎরোগে কামলা অথবা পাণ্ডুরোগ উৎপত্তি হইবার পর উন্দরবৃদ্ধি, শোথ ও উদরাময় হইলে (প্লীহোদর যকৃন্দালু্যদরের লক্ষণ ব্যতীত) প্লীহা ও যকৃৎরোগ কষ্টসাধ্য বুঝিতে হইবে ; সেই অবস্থায় শোথ ও উদরাময় নিবারণার্থ পঞ্চামৃতলৌহমণ্ডৱ, পুনর্ণবামণ্ডৱ প্রভৃতি ঔষধ সেবন করাইবে ; কিন্তু অবস্থাবিশেষে কামলারোগের তাদৃশ প্রবলতা দুষ্ট না হইলে, নবায়সলৌহ ও দার্ব্যাদিলৌহ প্রভৃতি সেবন করাইবে এবং কমলা ও পাণ্ডুতার স্বল্পতা বা প্রবলতা উভয় অবস্থায় শোথিবৃদ্ধি হইলে মানমণ্ড পথ্য প্রদান করিবে ; প্লীহা বা যকৃৎবৃদ্ধি নিবারণার্থ লোকনাথরািস বা বৃহৎ লোকনাথরাস প্রভৃতি রোগীকে সেবন করিতে দিবে। এইরূপ পাণ্ডু বা কামলার অবস্থায় রোগী দুর্বল হইলে এবং প্লীহা ও যকৃতের