পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডু, কামল ও হলীমক-চিকিৎসা। SCI দুর্বলতা, দেহের অবসন্নতা ও অরুচি জন্মে। কামলারোগে পিত্ত কুপিত হইয়া কোষ্ঠদেশকে আশ্রয় করে, কখনও বা রক্তাদি ধাতু সমূহকে আশ্রয় করে। কুম্ভকামলারোগের লক্ষণ। কামলারোগ দীর্ঘকাল স্থায়ী হইলে এবং সপ্তধাতু অত্যন্ত রুক্ষগুণ বিশিষ্ট হইলে, উহাকে কুম্ভকামলা কহে ; ইহা অতি কষ্টসাধ্য। হলীমক রোগের লক্ষণ। বায়ু ও পিত্তের প্রকোপবশতঃ পাণ্ডুরোগীর শরীর হরিত, কৃষ্ণ বা পীতবর্ণ হইলে এবং বল ও উৎসাহের হ্রাস, তন্দ্রা, অগ্নিমান্দ্য, মৃদুজর, স্ত্রীসহবাসে অনিচ্ছা, অঙ্গবেদনা, দাহ, তৃষ্ণা এবং অরুচি ও ভ্রম এই সকল উপদ্রব দৃষ্ট হইলে, পাণ্ডুরোগ হলীমক নামে অভিহিত হয়। হলীমক রোগে বায়ু ও পিত্তের প্রকোপ দৃষ্ট হয় । পাণ্ডুরোগাদির অসাধ্য লক্ষণ। পাথুরোগে জ্বর, অরুচি, বমনেচ্ছা, বমি, পিপাসা ও ক্লান্তি লক্ষিত এবং রোগীর দেহের ক্ষীণতা ও ইন্দ্রিয়ের শক্তিহীনতা দৃষ্ট হইলে, রোগীকে পরিত্যাগ করিবে । ত্রিদোষ জনিত পাণ্ডুরোগও অসাধ্য। পাণ্ডুরোগ দীর্ঘকাল স্থায়ী হইলে ও উন্দরীরোগে পরিণত হইলে অসাধ্য হয়। অল্পকাল জাত পাণ্ডুরোগেও যদ্যপি রোগীর অঙ্গ-বিশেষে শোথ দৃষ্ট হয় এবং রোগী সমস্ত বস্তু পীতবর্ণ দর্শন করে, তাহা হইলে উহা অসাধ্য হইয়া থাকে । পাণ্ডুরোগীর কফসংযুক্ত ও বদ্ধমল অল্প অল্প পরিমাণে পুনঃ পুনঃ নিৰ্গত হইলে, সেই পাণ্ডুরোগ অসাধ্য জানিবে। যে পাণ্ডুরোগী অত্যন্ত ক্লান্ত এবং বমন, মুছা ও পিপাসায় অভিভূত হয় ও ঘর্ম্মে যাহার সর্বাঙ্গ লিপ্ত হয়, সেই রোগীর পাণ্ডুরোগ অসাধ্য। ষে পাণ্ডুরোগীর দন্ত, নখ ও চক্ষু পাণ্ডুবর্ণ দৃষ্ট হয় এবং রোগী সমস্ত বস্তু পাণ্ডুৰর্ণ দর্শন করে, সেই পাণ্ডুরোগ অসাধ্য। যে পাণ্ডুরোগীর হস্ত ও পদাদিতে শোথ এবং শরীরের মধ্যদেশ ক্ষীণ হয় অথবা হস্ত পদাদির ক্ষীণতা ও শরীরের মধ্যদেশে শোথ দৃষ্ট হয়, সেই রোগী অসাধ্য। যে পাণ্ডুরোগীর গুহদেশ, মুখ, শিশ্ন ও অণ্ডকোষে শোধ জন্মে এবং গ্লানি, জ্ঞানলোপ, অতিসার ও জর দৃষ্ট হয়, তাহাকে পরিত্যাগ করিবে অর্থাৎ তাহার রোগ অসাধ্য।