পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডু, কামলা ও হলীমক-চিকিৎসা। ১৬৫ করাইবে। পাণ্ডু, কামলা বা হলীমক রোগে অগ্নিমান্দ্য বা ক্ষুধার লোপ অনেক স্থানেই দৃষ্ট হয়, এইরূপ অবস্থায় লঘু পথ্য প্রদান করা বিশেষ আবশ্যক ; অন্যান্য রোেগজন্য পাণ্ডুরোগে অর্থাৎ দীর্ঘকালব্যাপী জার, রক্তপিত্ত, ক্রিমি, যক্ষ্মা ও শোথ প্রভৃতি রোগ হইতে পাণ্ডুতার লক্ষণ দৃষ্ট হইলে, কেবলমাত্র মূলরোগ নাশক পথ্যাদি প্রদান না করিয়া অগ্নিবৰ্দ্ধক পথ্য প্রদান করা কর্ত্তব্য । পাণ্ডু, কামলা বা হলীমক রোগ অনেক দিনব্যাপী এবং উপদ্রব সংযুক্ত হইলে ঐ সকল উপদ্রব নষ্ট করিয়া রোগীর অগ্নিবল অনুসারে হরিদ্রাদ্যঘুত ও দ্রাক্ষান্বত প্রভৃতি ঔষধ সেবন করাইবে ; উহাতে রোগ সমূলে নষ্ট হয়। রোগীর শোথ, কাস এবং মৃদুভাবে জ্বর প্রকাশ পাইলে, পুনর্ণবাতৈল প্রভৃতি গাত্রে মর্দন করাইয়া রোগীকে স্নান করাইবে । পাণ্ডু, কামলা, কুম্ভকামলা ও হলীমক রোগের চিকিৎসা-ভেদ । বাতজ, পিত্তজ ও কফজ লক্ষণভেদে পাণ্ডুরোগের পৃথক পৃথক চিকিৎসা উক্ত হইয়াছে, কামলারোগে পিত্তপ্রধান পাণ্ডুরোগের ঔষধ প্রয়োগ করা বিধেয় ; যেহেতু কামলারোগ অত্যধিক পিত্তের প্রকোপ বশতঃ উৎপন্ন হয় ; তদ্ভিন্ন কামলারোগে মহাতিক্ত ঘূত ও কল্যাণ স্বত সেবন করাইয়া শরীর স্নিগ্ধ হইলে, তৎপরে পিত্তাহরণার্থ বিরোচক ঔষধ সেবন করান বিধেয় ; কিন্তু কামলারোগে রোগীর দুর্ব্বলতা, জ্বর ও মালভেদ প্রভৃতি লক্ষিত হইলে বিরেচন নিষিদ্ধ, এই অবস্থায় পাণ্ডুরোগের অন্যান্য ঔষধ সেবন করান चांदgदक । কুম্ভকামলারোগে কামলারোগেরই ঔষধ প্রয়োগ করিবে, যেহেতু কমলারোগে সমস্ত ধাতু রুক্ষ গুণবিশিষ্ট হইলে, উহা কুম্ভকামলারূপে পরিণত হয় ; অতএব স্নিগ্ধ ঔষধ অর্থাৎ দ্বত সেবন করাইয়া তৎপরে কামিলারোগার বিরোচক ঔষধ সেবন করাইবে এবং কামল চিকিৎসার নিয়মানুসারে রোগীর চিকিৎসা করিবে। শাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে “কুম্ভকামলায়াং তু হিতঃ কামলিকো