পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা । \\^مbg হইলে এবং রোগী অতিশয় দুর্বল হইলে, বিরোচন ঔষধ প্রদান করা অন্যায়, এইরূপ অবস্থায় স্বর্ণপৰ্পটী ও রসপৰ্পটী প্রভৃতি রোগীকে রোগের বলাবল বিবেচনা করিয়া সেবন করিতে দিবে এবং মাণিমণ্ড পথ্যরূপে প্রদান করিবে, জলোদরে শোথের প্রবলতা লক্ষিত হয়, এই অবস্থায় শল্য শাস্ত্রানুসারে অস্ত্র দ্বারা নাভির নিম্নভাগ ছিদ্র (টেপ ) করিয়া উদারস্থ জল বাহির করিবে, শাস্ত্রে উক্ত হইয়াছে যথা-জাতং জাতং জলং স্রাব্যং শাস্ত্রোক্তং শস্ত্রকর্ম্ম চ । জলোদীদের বিশেষেণ দ্রবসেবাং বিবৰ্জয়েৎ ৷ অন্যান্য উদাররোগেও জল বাহির করিয়া ঔষধ প্রয়োগ করিলে চিকিৎসায় শীঘ্র ফল দর্শে, কিন্তু প্লীহোদর, যকৃন্দালুসূদর ও বিদ্ধোেদর রোগে ঐ রূপ জল নিঃসরণ করিলে রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হয়। জল নিঃসরণ করিতে হইলে উদরে কি পরিমাণ জল সঞ্চিত হইয়াছে, তাহা বিবেচনা করিয়া শস্ত্রকর্ম্মে পারদর্শী চিকিৎসকদ্বারা ঐ জল নিঃসরিত করাইবে, জল নিঃসরণ কালে উচ্চ বালিশের পাশ্বে পৃষ্ঠের ভার রাখিয়া রোগীকে উপবেশন করাইবে এবং অতি সাবধানে এই কার্য্য সম্পন্ন করিবে । চতুর্থাংশ জল অবশিষ্ট থাকিলে জল নিঃসরণ বন্ধ করিবে, কারণ ঐ অবশিষ্ট জল ঔষধ প্রয়োগেও ক্রমশঃ হ্রাস হয় ; শোথ একবার ঐ রূপ ক্রিয়াদ্বারা হ্রাস হইলে পুনঃ পুনঃ উৎপন্ন হইতে দেখা যায়, এমতাবস্থায়, পুনঃ পুনঃ জল নিৰ্গত করা যায় বটে, কিন্তু আভ্যন্তরিক ঔষধ প্রয়োগ একান্ত কর্ত্তব্য, যেহেতু ঐ রূপ জল নিঃসরণ। ক্রিয়া রোগীর আশু কষ্ট লাঘবের কারণ মাত্র। এইরূপ ক্রিয়ার পর স্বর্ণপৰ্পট, রসপৰ্পটী বা লৌহপপটী প্রভৃতি ঔষধ সেবন করাইবে এবং মাণিমণ্ড পথ্যরূপে প্রয়োগ করিবে । রোগীর পিপাসা হইলে কেবল নির্জল দুগ্ধ পান করিতে দেওয়া আবশ্যক এবং শোথ একেবারে হ্রাস হইলে মণিমণ্ড পরিত্যাগ করিয়া দুগ্ধ ও পুরাতন শালি তণ্ডুলের অন্ন পথ্য দেওয়া কর্ত্তব্য । লবণ ও জল কিছুদিন বন্ধ রাখাও একান্ত কর্ত্তব্য ; কারণ সহসা লবণাক্ত ব্যঞ্জনাদি বা জলীয়দ্রব্য সেবনে ঐ রোগ পুনর্ব্বার বৃদ্ধি পাইয়া রোগীকে মৃত্যুমুখে পতিত হইতে দেখা গিয়াছে। শোথের নিবৃত্তি হইলে রোগীকে শিশিরের জল প্রদান করা যায় এবং ঐ জলে ব্যঞ্জনাদি পাক করিয়াও দেওয়া যাইতে পারে। রোগীর শোথ নিবৃত্ত হইলে সৈন্ধবলবণ ও ঘূতপক ব্যঞ্জনাদি ক্রমশঃ অল্প পরিমাণে প্রদান করিবে, রোগ নিবৃত্ত হইলে, পুনঃ পুনঃ উৎপত্তির আশঙ্কা থাকে, সুতরাং রোগীকে অতি সাবধানে রাখা আবশ্যক। রোগের প্রবলাবস্থায় শিরাসমূহ জলপূর্ণ থাকায় নাড়ী অতিশয়