পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রক্তপিত্ত-চিকিৎসা । Sh রক্ত ঈষৎ কৃষ্ণাভ এবং ঘনীভূত দৃষ্ট হয় এবং মুখ হইতে নিঃসৃত রক্ত, অন্নারসবিশিষ্ট, বমনের পূর্বে পকাশয়ে অসুখ বোধ, সময় সময় বমন করিবার ইচ্ছা, দীর্ঘ নিঃশ্বাস ও উদরে বেদন বোধ হয় এবং অনেক সময়ে পকাশয়স্থিত সঞ্চিত রক্ত মলের সহিত নিৰ্গত হয় । যক্ষ্মা ও রক্তপিত্তরোগের বাতাদি দোষ এই সমস্ত চিন্তু দ্বারা নিরূপণ করা সুকঠিন, উহা সামান্য লক্ষণ দ্বারা নিরূপণ করিবে । রক্তপিত্তের ও যক্ষ্মরোগের ভেদ উক্ত উভয় রোগের লক্ষণদ্বারাও নির্ণয় করা সুকঠিন, কারণ শৈল্পিক রক্তপিত্তে শ্লেষ্মা সংযুক্ত পিচ্ছিল রক্ত নিৰ্গমন পূর্ব্বে বর্ণিত হইয়াছে, এবং পৈত্তিক যক্ষ্মারোগে কাস, জ্বর, দাহ ও রক্ত নিৰ্গমন ইত্যাদি উল্লেখ করা হইয়াছে। রক্তপিত্তরোগের ন্যায় যক্ষ্মরোগেও দুর্বলতা, শ্বাস, কাসা ও জ্বর প্রভৃতি লক্ষণ বর্ণিত হইয়াছে, এক্ষণে উভয় রোগের পূর্ব্ব ও বর্তমান লক্ষণ দ্বারা রোগ নিৰ্দ্ধারণ করিতে হইলে, পূৰ্বরূপ অর্থাৎ রোগোপা, ত্তর পূর্ব লক্ষণও পরিজ্ঞাত হওয়া বিশেষ আবশ্যক ; যেহেতু, নিদান অর্থাৎ রোগোৎপাদক আহি তাচরণ ও অহিতকর দ্রব্য সেবন রূপ কারণ। পূৰ্বরূপ অর্থাৎ রোগ উৎপন্ন হইবার পূর্ব লক্ষণ। রূপ DBBDS SDDDSSDDBB DBBS SDBD aDL0D gDD DDBBBD DDB S SBDB প্রশমন বিষয়ের পরীক্ষা এবং সংপ্রাপ্তি অর্থাৎ দোষ ও দুষ্য সংমিশ্রণীরূপ ব্যাপার, এই পাঁচটার দ্বারাই উৎকট রোগ সকল নির্দেশ করা যায় ; কিন্তু যক্ষ্মা ও রক্তপিত্তের নিদান, সংপ্রাপ্তি ও উপশয় অনেকাংশে তুল্য, সুতরাং ঔষধ এবং পথ্যাদি দ্বারা উভয়ের ভেদ সর্ব্বত্র নির্ণয় করা সুকঠিন, পূর্ব্ব লক্ষণ ও সাধারণ লক্ষণ দ্বারা ইহার প্রভেদ যথাসম্ভব স্থির করিবে। রক্তপিত্তরোগে শরীরের অবসন্নতা, শীতল দ্রব্যে অভিলাষ, কণ্ঠদেশ হইতে ধূম নিৰ্গমনবৎ বোধ, বমন, শ্বাস ও প্রশ্বাসে রক্তগন্ধ এই সকল লক্ষণের ২/১টী বাতাদি দোযভেদে রোগ প্রকাশের পূর্ব্বে (পূৰ্বরূপের অবস্থায় ) লক্ষিত হয়, এবং কোন কোন স্থলে সমস্ত লক্ষণ প্রকাশ পাইয়া শীঘ্রই সান্নিপাতিক রক্তপিত্তে পরিণত হয়। যক্ষ্মারোগে কাস, শ্বাস, গাত্র বেদনা, শ্লেষ্ম নিঃসরণ (সৰ্দি, কাস) তালু শোষ, বমি, অগ্নিমান্দ্য, প্রবল সর্দি, নিদ্রাধিক্য, চক্ষুর শুক্ল তা, মাংস ভোজনে 'বলবতী ইচ্ছা, স্ত্রীসহবাসে অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নে কাকাদি পক্ষী ও বিভীষিকা দৰ্শন ইত্যাদি।