পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রহণীরোগ-চিকিৎসা । \ প্রকুপিত হইয়া পাচকাগ্নির ক্ষমতা হ্রাস করে ; সুতরাং দীর্ঘকালে অল্পের পরিপাক ক্রিয়া সমাধা হয় এবং ভুক্তি দ্রব্য হইতে যে রস উৎপন্ন হয়, উহা দ্বারা রক্তের কণিকা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত না হইয়া দৈহিক ক্রিয়ার বিধানানুসারে ফুসফুসের ক্রিয়ার ব্যাঘাত বশতঃ সন্দি, কাস এবং শরীরের অলসতা প্রভূতি উৎপন্ন হইয়া থাকে। এইরূপ বায়ু, পিত্ত ও শ্লেষ্মাবৰ্দ্ধক ক্রিয়া বা দ্রব্যাদির সেবন দ্বারা দোষত্রয় প্রকুপিত হইলে, সান্ত্রিপাতিক গ্রহণীরোগ উৎপন্ন হইয়া থাকে । সান্নিপাতিক গ্রহণীরোগে দোষত্রয়ের প্রকোপ বিদ্যমান থাকায়, উহা সর্ব্বাপেক্ষা কঠিন । গ্রহণীরোগের চিকিৎসাকালে অতীসাররোগের ন্যায়। উহার বাতাদি প্রকোপের ও আমি পর্ব্বকাপকের লক্ষণ চিন্তা করিয়া উহার চিকিৎসা কার্য্যে প্রবৃত্ত হওয়া উচিত ; যেরূপ অহিত দ্রব্য সেবন দ্বারা বিষম জর নবজরে পরিণত হয় এবং সেই অবস্থায় নব জ্বরের বিধানানুসারে লঙ্ঘনাদি প্রদান করা কীর্ত্তব্য; সেইরূপ গ্রহণীরোগের প্রথমাবস্থায়ও শাস্ত্রকারগণ বাতিক, পৈত্তিক ও শ্নৈগ্নিকান্তীসারের ঔষধ সমূহ দোষানুসারে প্রয়োগ করিতে উপদেশ প্রদান করিয়াছেন। অতীসাররোগের উৎপত্তি ব্যতীত মন্দাগ্নি ব্যক্তির অহিতাচরণ বশতঃ গ্রহণীরোগ উৎপন্ন হইলে, প্রথমাবস্থায় অজীর্ণরোগ চিকিৎসাব্ল ন্যায় লজঘন্যাদি ও ঔষধ প্রদান করা কীর্ত্তব্য। কিন্তু অতীসার যেরূপ শীঘ্র প্রাণ-নাশক এবং অতীসারে যে প্রকার লজঘনাদির আবশ্যকতা অনুমিত হয়, গ্রহণীরোগ প্রায়শঃ সেই রূপ নহে, উহা বিষমজারের ন্যায় সময় সময় হ্রাস DD BB KK BDSSS BgDBBmBD gB DDD S DB gB DDD SS DBB বা শিথিল হইয়া পড়ে ; সুতরাং এই উভয় রোগের পুরাতন অবস্থায় অনেকাংশে পৃথক ঔষধের প্রয়োজন। অনেক স্থলে শুক্রাদি ধাতুর ক্ষীণতা প্রযুক্ত অগ্নি দুর্ব্বল হইলেও গ্রহণীরোগ প্রকাশ পাইয়া থাকে, আবার অনেকস্থলে প্লীহা ও যকৃৎ প্রভৃতি যন্ত্রের ক্রিয়ার ব্যাঘাত বশতও ঐ রোগ উৎপন্ন হয় ; এরূপ স্থলে মূলরোগ নিবর্ত্তক পাচক ও ধারক ঔষধ প্রয়োগ বিধেয়। গ্রহণীরোগী আহার বিহারের নিয়ম লঙ্ঘন বশতঃ পুনঃ পুনঃ ঐ রোগে পীড়িত হইয়া থাকে, সুতরাং পুনরায় ঋতু পরিবর্তন কালপর্যন্ত রোগীর অতিসাবধানে