পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8) রাজ-চিকিৎসা, সুতরাং রাজার সাহায্যে উহার এত উন্নতি ; কিন্তু এলোপ্যাথিক চিকিৎসার কথা ছাড়িয়া দিলেও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার এই অল্পকালের মধ্যে যে কতই উন্নতি হইয়াছে, তাহা ভাবিলে আশ্চর্য্যান্বিত হইতে হয়, এ সম্বন্ধে অনুসন্ধান করিলে অন্যান্য কারণের মধ্যে বাঙ্গালা ভাষায় সরল চিকিৎসা-বিষয়ক গ্রন্থের বহু প্রচলনই এদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিস্তারের একটি প্রধান কারণ বলিয়া অনুমিত হইবে। অনেকে মনেকরেন যে, আয়ুৰ্বেদীয় সংস্কৃত গ্রন্থে যাহা আছে, তাহাই যথেষ্ট ; উহার সংস্কার বা বঙ্গানুবাদ করিবার কোনও প্রয়োজন নাই ; কিন্তু দুঃখের বিষয় তাহারা এটা বুঝিয়া দেখেন না যে, বিজ্ঞচিকিৎসক বঙ্গের সর্বত্র সহজ প্রাপ্য নহে এবং যাহাতে সাধারণের জীবন মরণের নিত্য সম্বন্ধ বিদ্যমান রহিয়াছে, সেই বিষয়ের সাধারণ জ্ঞান সর্ব্ব সাধারণের মধ্যেই প্রচারিত হওয়া কর্ত্তব্য । আরও • একটি দুঃখের বিষয় এই যে, পাশ্চাত্যদেশে বহুদৰ্শী চিকিৎসকগণের বহুদৰ্শনের ফলস্বরূপ যেরূপ মেডিকেলজার্ণাল বা চিকিৎসাবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশিত হয়, আমাদের দেশের বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ সে বিষয়ে একেবারেই উদাসীন, র্তাহারা আজীবন চিকিৎসা এবং ঔষধের গুণাগুণ সম্বন্ধে যতটুকু অভিজ্ঞতা অৰ্জন করেন, তাহাদের অন্তৰ্দ্ধানের সঙ্গে সঙ্গেই তৎসমস্ত বিলুপ্ত হয় ; ইহী, কি কম দুঃখের কথা ? আমাদের যা কিছু ছিল, এইরূপ ভাবেই তাহা বিলুপ্ত হইয়াছে এবং বর্তমানে যদি এবিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা যায়, তবে এখনও যাহা কিছু আছে, তাহাও হয়ত কালের প্রভাবে ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হইতে পারে, এই আশঙ্কায় দীর্ঘকাল যাবৎ চিকিৎসাকার্যো ব্যাপৃত থাকিয়া ঔষধ ও চিকিৎসা সম্বন্ধে যে সামান্য অভিজ্ঞতা জন্মিয়াছে, তাহাও দেশের জন সাধারণের মধ্যে প্রচারের উদ্দেশ্যে এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করিয়াছি এবং এইজন্যই “আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা” নামক এই অভিনব গ্রন্থের সৃষ্টি ; হোমিওপ্যাথিক গ্রন্থদুষ্টে যেরূপ সহজে ঔষধ ব্যবস্থা করা যায়, এই গ্রন্থখানি দৃষ্টে সাধারণে তদ্রুপ ঐষধ প্রয়োগ করিতে পরিবেন, এই আশা হািদয়ে পোষণ করিয়া এই কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি, কিন্তু কতদূর কৃতকার্য্য হইয়াছি, তাহার বিচারের ভার সুধীগণের হস্তে অৰ্পণ করিলাম। উপসংহারে এতদেশীয় বিজ্ঞ চিকিৎসকগণের নিকট নিবেদন এই-ইির্তাহারা স্ব স্ব চিকিৎসাবিষয়ক জ্ঞানলব্ধ ফল পুস্তকাকারে প্রচার করিলে দেশের একটীি প্রধান আঁভাব দূরীভূত হইব ।