পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিভাষাপ্রকরণ । O হজুলাকৃষ্ট রস ও রৌপ্যভস্ম-প্রণালী। হিঙ্গুল হইতে পারদ গ্রহণের আবশ্যকতা হইলে, ঐ সঙ্গে একেবারে রৌপ্য ভস্ম করা যাইতে পারে। শোধিত রূপার পাত কঁাচি দ্বারা কুচি কুচি করিয়া কাটিয়া শোধিত হিঙ্গুলচুর্ণ দ্বারা উহা আবৃত করিয়া হাড়ীর তলায় স্থাপনপূর্বক নিয়ে জ্বাল দিলে উপরের শরার নিম্নভাগে পারদ সংলগ্ন হইবে, এবং রৌপ্য ভস্ম অবস্থায় হাড়ীর তলায় পতিত থাকিবে । এই রূপাভস্ম দেখিতে ঠিক রূপার ন্যায় হইয়া থাকে, অর্থাৎ বর্ণের কোন তারতম্য হয় না। স্বর্ণভস্মকালে স্বর্ণসিন্দুরের উৎপত্তি ও তৎসহ স্বর্ণের উত্থান । অভিজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেই অবগত আছেন যে স্বর্ণাসিন্দূর বা মকরধ্বজের সহিত স্বর্ণ উখিত হয় না, স্বর্ণ ভস্ম অবস্থায় বোতলের নিয়ে পতিত থাকে। স্বর্ণাসিন্দূরের সহিত স্বর্ণ উঠাইবার জন্য আমিও অনেক চেষ্টা করিয়াছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় কৃতকার্য্য হইতে পারি নাই। সুতরাং নানা কারণে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়াছিল যে, স্বর্ণাসিন্দূরের সহিত স্বর্ণ উঠাইবার চেষ্টা কার্য্যকারী হইবে না। এইজন্য আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা প্রথমখণ্ডে আমি এইরূপ মতই লিপিবদ্ধ করিয়াছি, কিন্তু আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা প্রথমখণ্ড প্রচারিত হওয়ার পর ঘটনাক্রমে আমার ঐ রূপ মত পরিবর্ত্তিত হইয়াছে। একদিন স্বর্ণ ভস্ম করিবার প্রয়োজন হওয়ায় পারদের সহিত স্বর্ণ মর্দন পূর্বক গন্ধকের সহিত কাজলী করিয়া প্রথম পুট প্রদানের পর মূষা খুলিয়া দেখা গেল যে উপরের মূষাতে স্বর্ণাসিন্দুর উখিত হইয়াছে, নিয়ের মূষাস্থিত স্বর্ণ ওজন করিয়া দেখা গেল, একভরির স্থানে মোটে এগার আনা রহিয়াছে। তখন মনে করিলাম হয়ত অবশিষ্ট পাঁচ আনি সোণ স্বর্ণাসিন্দূরের সহিত উত্থিত হইয়াছে, কিন্তু প্রকৃত পক্ষে স্বর্ণাসিন্দূরের সহিত সোণ উঠিয়াছে কিনা, তাহ জানিবার জন্য ঐ স্বর্ণাসিন্মুর খলে পেষণ পূর্বক পুনরায় পুট দিয়া দেখা গেল, যথার্থই পাঁচ আনা সোণা এই স্বর্ণাসিন্দূরের মধ্যে ছিল। তখন অনুসন্ধান করিয়া জানিলাম ঘুটিয়াগুলি একটু ভিজা ছিল, তজ্জন্য অগ্নির উত্তাপের তারতম্যেই ঐরূপ হইয়াছে। যাহা হউক তারপর আমি এ সম্বন্ধে আর পরীক্ষা করিবার অবসর পাই নাই। আশা করি এই কার্য্যে যাহারা ব্রতী আছেন, তাহারা