পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRR छांद्मशृंक দল এমন ঝাক বাধিয়া বসিয়া আছে, দূর হইতে মনে হয় যেন সাদা সাদা থোকা থোকা ফুল ফুটিয়াছে। 62ान कभभ ग्रांgा इश् उधानिन । ওপারে শৈলচুড়ায় যেন তামার রং ধরিয়াছে। বকের দল ডানা মেলিয়া উড়িতে আরম্ভ করিল। গাছপালার মগডালে রোদ উঠিয়া গেল। পাখীর কৃজন বাড়িল আর বাড়িল অজানা বনকুসুমের সেই মুদ্রাণটা। অপরাহের ছায়ায় গন্ধটা যেন আরও ঘন, আরও সুমিষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। একটা বেঁজি থানিকদূর হইতে মাথা উচু করিয়া আমার দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া দেখিতেছে। কি নিভৃত শান্তি! কি অদ্ভুত নির্জনতা ! এতিক্ষণ ত এখানে আছি, সাড়ে তিন ঘণ্টার কম নয়-বন্য পক্ষীর কাকলী ছাড়া অন্য কোন শব্দ শুনি নাই। আর পাখীদের পায়ে পায়ে ডালপাতার মচ মচানি, শুষ্কপত্র বা লতার টুকরা পতনের KDDS DBB D uDD DBDuD BBB S নানা বিচিত্র ও বিভিন্ন গড়ন বনস্পতিদের শীর্ষদেশের । এই সন্ধ্যার সময় রাঙা রোদ পড়িয়া তাদের শোভা হইয়াছে অদ্ভূত। তাদের কত গাছের মগডাল জড়াইয়া লতা উঠিয়াছে ; এক ধরণের লতাকে এদেশে বলে ভিয়োর লতা -আমি তাহার নাম দিয়াছি ভোমরা লতা-সে লতা যে গাছের মাথায় উঠিবে, আষ্টেপুষ্ঠে জড়াইয়া ধরিয়া থাকে। এই সময় ভোমরা লতায় ফুল ফুটে --ছোট ছোট বনজুইয়ের মত সাদা সাদা ফুলে কত বড় বড় গাছের মাথা আলো করিয়া রাখিয়াছে। অতি চমৎকার সুস্ৰাণ, অনেকটা যেন প্রস্ফুটিত সর্যে ফুলের মত-তবে অতটা উগ্র নয়। সরস্বতী কুণ্ডীর বনে কত বন্য শিউলি গাছ-শিউলি গাছের প্রাচুর্য্য এক এক জায়গায় এত বেশী, যেন মনে হয় শিউলির বন। বড় বড় শিলাখণ্ডের উপর শারতের প্রথমে সকালবেলা রাশি রাশি শিউলি ফুল ঝরিয়া পড়িয়াছিল--দীর্ঘ এক রকম কর্কশ ঘাস সেই সব পাথরের আশে-পাশে-বড় বড় ময়নাকাটার গাছ তার সঙ্গে জড়াইয়াছে-কঁটা, ঘাস, শিলাখণ্ড সব তাতেই রাশি রাশি