পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 আরণ্যক করিতে হয়। আমার সঙ্গে ছিল আমীন রঘুবীর প্রসাদ। সে আগে গবর্ণমেণ্টের চাকুরী করিয়াছে, মোহনপুরা রিজার্ভ ফরেস্ট ও এ-অঞ্চলের বনের সঙ্গে তার পাঁচিশ-ত্রিশ বছরের পরিচয় । তাহার কাছে সরস্বতী কুণ্ডীর কথা তুলিতেই সে বলিল-হুজুর, ও মায়ার কুণ্ডী, ওখানে রাত্রে হুরী-পরীরা নামে ; জ্যোৎস্না-রাত্রে তারা কাপড় খুলে রাখে। ভাঙায় ঐ সব পাথরের ওপর, রেখে জলে নামে । সে-সময় যে তাদের দেখতে পায়, তাকে ভুলিয়ে জলে নামিয়ে ডুবিয়ে মারে। জ্যোৎস্নার মধ্যে দেখা যায় মাঝে মাঝে পত্নীদের মুখ জলের উপরে পদ্মফুলের মত জেগে আছে। আমি দেখি নি কখনও, হেড সার্ভেয়ার ফতে সিং একদিন দেখেছিলেন । একদিন তারপর তিনি গভীর রাত্রে একা ওই হ্রদের ধারে বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন সার্ভেতাবুতে-পত্নদিন সকালে তঁর লাস কুণ্ডীর জলে ভাসতে দেখা যায়। বড় মাছে তঁার একটা কান খেয়ে ফেলেছিল, হুজুর ওখানে আপনি ও-রকম যাবেন না। এই সরস্বতী কুণ্ডীর ধারে একদিন দুপুরে এক অদ্ভুত লোকের সন্ধান পাইলাম। সার্ডে-ক্যাম্প হইতে ফিরিবার পথে একদিন হ্রদের তীরের বনপথ দিয়া আস্তে আন্তে আসিতেছি, বনের মধ্যে দেখি একটি লোক মাটুিথুড়িয়া কি যেন করিতেছে। প্রথমে ভাবিলাম লোকটা ভুই-কুমড়া তুলিতে আসিয়াছে, ভুইকুমড়া লতাজাতীয় উদ্ভিদ, মাটির মধ্যে লতার নীচে চালকুমড়ার আকারের প্রকাণ্ড কািলদ জন্মায়0D DBD DBDLD D DDSS BBBBt ggBB BDBYD DBSBB EBD DD হয়। কৌতুহল বশত ঘোড়া হইতে নামিয়া কাছে গেলাম, দেখি ভুইকুমড়া নয়, কিছু নয়, লোকটা কিসের যেন বীজ পুতিয়া দিতেছে। আমায় দেখিয়া সে থাত মত খাইয়া অপ্রতিভ দৃষ্টিতে আমার দিকে চাহিল। বয়স হইয়াছে, মাথায় কঁাচা-পাকা চুল। সঙ্গে একটা চটের থলে, তার ভিতর হইতে ছোট একখানা কোদালের আগাটুকু দেখা যাইতেছে, একটা শাবল পাশে SBDDSDB BDD DYD D BDBzYY DBDD LDS বলিলাম।--তুমি কে ? এখানে কি করছি ?