পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক S8 পশ্চিম দিক হইতে পূর্বে ঘূরিয়া আসিতেছে, অনেকক্ষণ চাহিয়া থাকিলে দৃষ্টিবিভ্রম উপস্থিত হইত, সত্যই মনে হইত যেন পশ্চিম দিকচক্রবাল-প্রান্তের ভূপৃষ্ঠ আমার অবস্থিতি-বিন্দুর দিকে ঘুরিয়া আসিতেছে। রোদটুকু মিলাইয়া যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজায় শীত পড়িত, আমরাও সারাদিনের গুরুতর পরিশ্রম ও ঘোড়ায় ইতস্তত ছুটাছুটির পরে সন্ধ্যাবেলা প্রতিদিন আমার খুপরির সামনে আগুন জালিয়া বসিতাম। সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারাবৃত বন্যপ্রান্তরের উৰ্দ্ধাকাশে অগণ্য নক্ষত্রলোক কত দূরের বিশ্বরাজির জ্যোতির দূতরূপে পৃথিবীর মানুষের চক্ষুর সম্মুখে দেখা দিত। আকাশে নক্ষত্র।রাজি জ্বলিত যেন জ্বলজ্বলে বৈদ্যুতিক বাতির মত-বাংলা দেশে অমন কৃত্তিকা, অমান সপ্তর্ষিমণ্ডল কখনও দেখি নাই। দেখিয়া দেখিয়া তাহাদেৱ সঙ্গে নিবিড় পরিচয় হইয়া গিয়াছিল, নীচে ঘন অন্ধকার, বনানী, নিৰ্জনতা, রহস্যময়ী রাত্রি, মাথার উপরে নিত্যসঙ্গী অগণ্য জ্যোতিলোেক । এক-একদিন এক ফালি অবাস্তব চাদ অন্ধকারের সমুদ্রে সুদূর বাতিঘরের আলোর মত দেখাইত । আর সেই ঘনকৃষ্ণ অন্ধকারকে আগুনের তীক্ষ্ণ তীর দিয়া সোজা কাটিয়া এদিকে ওদিকে উস্কা খসিয়া পড়িতেছে । দক্ষিণে, উত্তরে, ঈশানে, নৈঋতে, পূর্ব্বে, পশ্চিমে সব দিকে । এই একটা, ওই একটা, ওই দুটো, এই আবার একটা, মিনিটে মিনিটে, সেকেণ্ডে সেকেণ্ডে । এক-একদিন গনোৱী তেওয়ারী ও আরও অনেকে তঁবুতে আসিয়াৎজাটে । নানা রকম গল্প হয়। এইখানেই একদিন একটা অদ্ভুত গল্প শুনিলাম। কথায় কথায় সেদিন শিকারের গল্প হইতেছিল। মোহনপুৱা জঙ্গলের বন্য-মহিষের কথা উঠিল। দশরথ সিং ঝাণ্ডাওয়ালা নামে এক রাজপুত সেদিন লবটুলিয়া কাছারিতে চরির ইজারা ডাকিতে উপস্থিত ছিল। লোকটা এক সময়ে খুৰ বনে-জঙ্গলে ঘুরিয়াছে, দুদে শিকারী বলিয়া তার নাম আছে। দশরথ ঝাণ্ডাওয়ালা বলিল-হুজুর, ওই মোহনপুৱা জঙ্গলে বুনো মহিষ শিকার করতে LBDt BDDBD LDD LDS