পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S89 আরণ্যক মনে পড়িল গনু মাহাতো একবার এই টাড়িবারোর কথা বলিয়াছিল বটে। बक्रिगांभ-दJi°ांब्राँ किं ? --হুজুর, সে অনেক দিনের কথা। কুশী নদীর পুল তখনও তৈরী হয় নি । কাটারিয়ায় জোড়া খেয়া ছিল, গাড়ীর প্যাসেঞ্জার খেয়ায় মালসুদ্ধ পারাপার হ’ত। আমরা তখন ঘোড়ার নাচ নিয়ে খুব উন্মত্ত, আমি আর ছাপারার ছটু সিং। ছটু সিং হরিহরছাত্র মেলা থেকে ঘোড়া নিয়ে আসত, আমরা দুজন সেই সব ঘোড়াকে নাচ শেখাতাম, তার পর বেশী দামে বিক্রী করতাম। ঘোড়ার নাচ দুরকম, জমৈতি আর ফনৈতি। জমৈতিতে যে-সব ঘোড়ার তালিম বেশী, তারা বেশী দামে বিক্রী হয়। ছটু সিং ছিল জমৈতি নাচ শেখাবার ওস্তাদ । দুজনে তিন-চার বছরে অনেক টাকা করেছিলাম । একবার ছটু সিং পরামর্শ দিলে ঢোলবাজ্য জঙ্গলে লাইসেন্স নিয়ে বুনো মহিষ ধরে ব্যবসা করতে। সব ঠিকঠাক হ’ল, ঢোলবাজ্য দ্বারভাঙ্গা মহারাজের রিজার্ভ ফরেস্ট। আমরা কিছু টাকা খাইয়ে বনের আমলাদের কাছ থেকে পোরমিটু আনালাম। তারপর ক'দিন ধরে ঘন জঙ্গলের মধ্যে বুনো মহিষের যাতায়াতের পথের সন্ধান ক’রে বেড়াই । অত বড় বন হুজুর, একটা বুনো মহিষের দেখা যদি কোন দিন মেলে! শেষে এক বুনো সাঁওতাল লাগালাম। সে একটা বঁাশবনের তলা দেখিয়ে বললে, গভীর রাত্রে এই পথ দিয়ে বুনো মহিষের জেরা (দল) জল খেতে যাবে। সেই পথের মধ্যে গভীর খান কেটে তার ওপর বঁাশ ও মাটি বিছিয়ে ফাদ তৈরী করলাম। রাত্রে মহিষের জেরা যেতে গিয়ে গর্ত্তের মধ্যে পড়বে। সাঁওতালটা দেখে-শুনে বললে-কিন্তু সব করছিস বটে তোরা, একটা কথা আছে। ঢোলবাজ্য জঙ্গলের বুনো মহিষ তোরা মারতে পাৱবি নে। এখানে টাড়বারো আছে । आभद्रा ड अवांक । एियांग्रा कि ? সাঁওতাল বুড়ো বললে-টাড়িবারো হ’ল বুনো মহিষের দলের দেবতা। সে একটাও বুনো মহিষের ক্ষতি করতে দেবে না।