পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 ዓ መ ख्याझ*]क হইল। সে আমায় জঙ্গল দেখাইয়া বেড়াইতেছে- হঠাৎ জঙ্গলের মধ্যে একটা শুষ্ক নালার ওপারে ঘন বনের মধ্যে দেখি একটা প্রস্তরস্তম্ভের শীর্ষ জাগিয়া আছে--ঠিক কাল সন্ধ্যাবেলার সেই স্তম্ভটার মত। সেই রকমের বিকট মুখ খোদাই করা । আমার সঙ্গে বনোয়ারী পাটোয়ারী ছিল, তাহাকেও দেখাইলাম। মালিকের কর্ম্মচারী স্থানীয় লোক, সে বলিল-ও আরও তিন-চারটা আছে। এ-অঞ্চলে জঙ্গলের মধ্যে মধ্যে। এ দেশে আগে অসভ্য বুনো জাতির রাজ্য ছিল, ও DDLDDBB DDD DBS gLEL uD BBBD DEESS বলিলাম-খাম্বা কি ক’রে জানলে ? সে বলিল-চিরকাল শুনে আসছি। বাবুজী, তা ছাড়া সেই রাজার বংশধর ७५& 6न । বড় কৌতুহল হইল। -८काथाम्न ? লোকটা আঙুল দিয়া দেখাইয়া বলিল-এই জঙ্গলের উত্তর সীমানায় একটা ছোট বস্তি আছে- সেখানে থাকেন । এ-অঞ্চলে তঁর বড় খাতির । আমরা শুনেছি উত্তরে হিমালয় পাহাড়, আর দক্ষিণে ছোটনাগপুরের সীমানা, পূর্বে কুশী নদী, পশ্চিমে মুঙ্গের-এই সীমানার মধ্যে সমস্ত পাহাড়-জঙ্গলের রাজা ছিল ওঁর পূর্বপুরুষ। মনে পড়িল, পূর্বেও আমার কাছারিতে একবার গনোৱী তেওয়ারী স্কুলমাস্টার গল্প করিয়াছিল বটে যে, এ-অঞ্চলের আদিম-জাতীয় রাজা তাদের বংশধর। এখনও আছে। এ-দিকের যত পাহাড়ী জাতি-তাহাকে এখনও রাজা বলিয়া মানে । এখন সে কথা মনে পড়িল । জঙ্গলের মালিকের সেই কর্ম্মচারীর নাম বুদ্ধ, সিং, বেশ বুদ্ধিমান, এখানে অনেক কাল চাকুরী করিতেছে, এই সব বন-পাহাড় অঞ্চলের অনেক ইতিহাস সে জানে দেখিলাম। বুদ্ধ, সিং বলিল-মুঘল বাদশাহের আমলে এরা মুঘলসৈন্যদের সঙ্গে লড়েছে