পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক 9ܕܶ -e, vsi asto se ga o -বাবুৰী যদি দয়া ক’রে অনুমতি করেন, তবে বলি। আপনার সময় নষ্ট করছি নে ? তখন আমি ভাবিতেছি লোকটা চাকুরীর জন্যই আসিয়াছে। কিন্তু হুজুর” না-বলাতে সে আমার শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়াছিল। বলিলাম-বনুন, অনেক দূর থেকে হেঁটে এসেছেন এই গরমে। আর একটি কথা লক্ষ্য করিলাম লোকটির হিন্দী খুব মাৰ্জিত। সে-রকম হিন্দীতে আমি কথা বলিতে পারি না। সিপাহী পিয়াদা ও গ্রাম্য প্রজা লইয়া আমার কারবার, আমার হিন্দী তাহদের মুখে শেখা দেহাতি বুলির সহিত বাংলা ইডিয়ম মিশ্রিত একটা জগাখিচুড়ী ব্যাপার। এ-ধরণের ভদ্র ও পরিমাজ্জিত, ভব্য হিন্দী কখনও শুনিই নাই, তা বলিব কিরূপে ? সুতরাং একটু সাবধানের সহিত বলিলাম--কি আপনার আসার উদ্দেশ্য বলুন। সে বলিল-আমি আপনাকে কয়েকটি কবিতা শুনাতে এসেছি। দস্তুরমত বিস্মিত হইলাম। এই জঙ্গলে আমাকে কবিতা শোনাইতে আসিবার এমন কি গরজ পড়িয়াছে লোকটির, হইলই বা কবি ? বলিলাম-আপনি একজন কবি ? খুব খুশি হলাম। আপনার কবিতা খুব আনন্দের সঙ্গে শুনব । কিন্তু আপনি কি ক’রে আমার সন্ধান পেলেন ? -এই মাইল তিন দূরে আমার বাড়ী। পাহাড়ের ঠিক ওপরেই। আমাদের গ্রামে সবাই বলছিল কলকাতা থেকে এক বাংগালি বাবু এসেছেন। আপনাদের কাছে বিস্তার বড় আদর, কারণ আপনারা নিজে বিদ্বান। কবি বলেছেন বিষৎসু সৎকবি বাচা লভতে প্রকাশিং ছাত্রেষু কুটুমলসমং তৃণবজড়োধু। বেঙ্কটেশ্বর প্রসাদ আমায় কবিতা শোনাইল । কোন-একটা রেল-লাইনের টিকিট চেকার, বুকিং ক্লার্ক, স্টেশন মাস্টার, গার্ড প্রভৃতির নামের সঙ্গে জড়াইয়া এক সুদীর্ঘ কবিতা। কবিতা খুব উঁচুদরের বলিয়া মনে হইল না। তবে আমি