পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১০

& 0 & আরণ্যক সন্ধ্যার পূর্বে আমি রাজা,দোবারু পান্নার রাজধানীতে পৌঁছিয়া গেলাম। সেবারকার সেই খড়ের ঘরখানা অতিথিদের অভ্যর্থনার জন্য চমৎকার করিয়া লেপিয়া পুছিয়া রাখা হইয়াছে। দেওয়ালে গিরিমাটির রং, পদ্মা গাছ ও মযুৱ আঁকা, শাল কাঠের খুঁটির গায়ে লতা ও ফুল জড়ানো। আমার বিছানা এখনও আসিয়া পৌছায় নাই, আমি ঘোড়ায় আগেই পৌছিয়াছিলাম-কিন্তু তাহাতে কোন অসুবিধা হইল না। ঘরে নূতন মাদুর পাতাই ছিল, গোটা দুই ফস তাকিয়াও দিয়া গেল। একটু পরে ভানুমতী একখানা বড় পিতলের সরাতে ফলমূল কাটা ও এক বাটি জাল দেওয়া দুধ লইয়া ঘরে ঢুকিল, তাহার পিছু পিছু আসিল একখানা DS KDDLDL D KDS DD DBLB D Bz KB BDB BDD লাইয়া আর একটি তাহার বয়সী মেয়ে। ভানুমতীর পরনে একখানা জাম-রঙের খাটাে শাড়ী হাঁটুর উপর উঠিয়াছে, গলায় সবুজ ও লাল হিংলাজের মালা, খোপায় জলজ স্পাইডার লিলি গোঁজা। আরও স্বাস্থ্যবতী ও লাবণ্যময়ী হইয়া উঠিয়াছে ভানুমতী-নিটোল দেহে যৌবনের উচ্ছলিত লাবণ্যের বান ডাকিয়াছে, চোখের ভাবে কিন্তু যে সরলা বালিকা দেখিয়াছিলাম, সেই সরলা বালিকাই আছে। दनिलाभ-केि उभऊँी, उाल अछि ? ভানুমতী নমস্কার করিতে জানে না-আমার কথার উত্তরে সরল হাসি হাসিয়া বলিল-আপনি, বাবুজী ? --আমি ভাল আছি । --কিছু খান। সারাদিন ঘোড়ায় এসে খিদে পেয়েছে খুব। আমার উত্তরের অপেক্ষা না-করিয়া সে আমার সামনে মাটির মেজেতে স্থািটু গাড়িয়া বসিয়া পড়িল ও পেতলের থালাখানা হইতে দু-খানা পেঁপের টুকরা আমরে হাতে তুলিয়া দিল । আমার ভাল লাগিল-ইহার নিঃসঙ্কোচ বন্ধুত্ব। বাংলা দেশের মানুষের