পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক -পাঠশালা করতাম। ছেলে পড়াতাম। -কোনো পাঠশালা টিকল না ? -দু-তিন মাসের বেশী নয় হুজুর। ছেলেরা মাইনে দেয় না। -हिम-५i&al क्रुद्रछ ? दश्न क्ऊ श्न ? --নিজেরই পেট চলে না হুজুর, বিয়ে ক’রে করব কি ? বয়স চৌত্রিশপয়ত্রিশ হয়েছে । গনোরীর মত এত দরিদ্র লোক এ অঞ্চলেও বেশী দেখা যায় না। মনে পড়িল, গানোরী একবার বিনা-নিমন্ত্রণে ভাত খাইতে আমার কাছারিতে আসিয়াছিল, প্রথম যোবার এখানে আসি । বর্তমানে বোধ হয় কত কাল সে ভাত খাইতে পায় নাই। গাঙ্গোত-বাড়ীতে অতিথি হইয়া কলাইয়ের ছাতু छेद्भू' नि शेउंछ् । বলিলাম-গনোৱী, আজ রাত্রে আমার এখানে খাবে। কণ্ট, মিশির রাখে, তার হাতে তোমার তো খেতে আপত্তি নেই ? -- গনােরী বেজায় খুশী হইল। এক গাল হাসিয়া বলিল-কণ্ট, আমাদেরই ব্রাহ্মণ, ওর হাতে আগেও তো খেয়েছি-আপত্তি কি ? তার পর বলিল-হুজুর, বিয়ের কথা যখন তুললেন তখন বলি। আর বছর শ্রাবণ মাসে একটা গায়ে পাঠশালা খুললাম। গায়ে একঘর আমাদেরই ব্রাহ্মণ ছিল। তার বাড়ীতে থাকি । ওর মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা সব ঠিকঠাক, এমন কি আমি মুঙ্গের থেকে ভাল মেরজাই একটা কিনে আনলামতার পর পাড়ার লোক ভাঙচি দিলে-বললে-ও গরীব স্কুলমাস্টার, চাল নেই চুলো নেই, ওকে মেয়ে দিও না। তাই সে বিয়ে ভেঙে গেল। আমি সে গাঁ ছেড়ে চলেণ্ড গেলাম । --মেয়েটিকে দেখেছিলে ? দেখতে ভাল ? --দেখি নি ? চমৎকার মেয়ে, হজুৱা। তা আমাকে কেন দেবে ? সত্যিই তো। আমার কি আছে বলুন না ?