পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা। বাবা। তবু মলিনাকে তাজ মনে হয়। মুখে সে বলে বটে যে কিছুই বুঝতে পারছে না, মনে মনে কিন্তু সে ডাক্তার দত্তের উপর নির্ভর করতেই ইচ্ছক। ডাক্তার দত্তের কল্যাণে সে একটা স্থাষী দুঃস্বপ্নের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। বংশগত রোগ নয় । ছেলেকেও তার বড় হয়ে একবার পাগল হতে হবে এটা ভাগ্যের অনিবার্য্য নির্দেশ নয় । মলিন যেন অনেক শান্তি পেয়েছে । অনিমেষ বলে, কিন্তু তোমাকেই শেয কথা বলতে হবে । মলিন চিন্তিতমুখে বলে ডাক্তার দত্ত যখন বলছেন স্পেশালিষ্ট দরকার, আমার তো মনে হয় অনিমেষ বলে, আমিও তাই বলছি । ডাক্তার দত্তকে দিয়ে নিজের পরীক্ষা করানোর জন্য এবার কেশব উদগ্রীব হয়ে পড়ে। একজন কেন পাগল হয়েছে যদি ঠিক ভাবে ধরতে পারে ডাক্তার দত্ত, তার অসুখটা নিশ্চয় অনায়াসে ধরে ফেলবে । অনিমেষের কাছে যে একখানা পরিচয় পত্রের আবেদন জানায় । ঃ তোমার আবার কি হ’ল ? :: মাথার যন্ত্রণা, রাতে ঘুম হয় না— অনিমেষ চমৎকৃত হয়ে বলে, সেজন্য এত বড় স্পেশালিষ্টকে দেখাবে ? ওর ফি কত জানো ? কেশব বলে জানি বৈকি ! দেখি যদি একটু কমটম করেন। সাধারণ ডাক্তারের চিকিৎসায় কিছু হল না। ভয় হচ্ছে, যদি পাগল হয়ে যাই ! টাকার মায়া করে কি হবে বলুন ! যথা সর্বস্ব যায় যাবে, অসুখটা যদি সারে Sos