পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় পত্র লিখতে লিখতে অনিমেষ কয়েকবার মুখ তুলে তার দিকে চায়। মাথায় ছিট আছে সন্দেহ নেই, নইলে এই যোয়ান মন্দ সুস্থ সবল মানুষটা মাথা ধরে আর ঘুম হয় না বলে স্পেশালিষ্টকে দেখাতে চায় । একটা বিয়ে করলেই তো সব সেরে যায় । ড্রাইভারকে সোজাসোজি বিয়ের কথাটা বলতে সঙ্কোচ হয়। অনিমেষের, সে একটু ঘুরিয়ে বলে, আমারও এরকম হয়েছিল। তোমার চেয়ে কম বয়সে। মাথা ঘুরত, ঘুম হত না । তারপর চাকরী নিলাম বিয়ে করলাম, আপনা থেকে সব সেরে গেল । সেরে গেল ? মাথার মধ্যে ঝিম ঝিম করে ওঠে অনিমেষের, কিছুদিনের জন্য সেরে গিয়েছিল বটে-কিন্তু তারপর মাঝে মাঝে মাথা কি তার ঘোরে নি, ঘুমের জন্য ছটফট করে নি ? পদোন্নতি হওয়ার পর জামাই পাগল হবার পর আবার কি মাথাটা তার বেশী করে ঘোরে না, ঘুমের জন্য সারারাত ছটফট করে না ? কেশব বলে, আমার অসুখটা আরও কঠিন। ডাক্তাররা ধরতে পারলে না কি হয়েছে । নিশ্বাস ফেলে অনিমেষ বলে ছুটি নেবে তো চিকিৎসার জন্য ? :: কয়েকদিনের ছুটি যদি দৃষ্ঠানঅনিমেষ গম্ভীর হয়ে বলে, স্থাখো স্পেশালিষ্ট দেখাচ্ছে, টি টমেণ্ট দু’চার দিনের ব্যাপার হবে না। আমাকে আবার নতুন ড্রাইভার রাখার হাঙ্গামা করতে হয় । তার চেয়ে এক কাজ করা যাক কেশব প্রতীক্ষা করে । ঃ কি জান, আমি আর ড্রাইভার রাখবই না ভাবছিলাম, নিজেই ড্রাইভ করব । তোমাকে একেবারে বিদেয় দিতে মন চায় না । У У о