পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশব পলকহীন চোখে চেয়ে থাকে । ডাক্তার দত্ত বলে, আচ্ছা আরও একটা দিক বিবেচনা করার আছে। যেরকম ভালবাসা তোমার প্রাণ চায় তুমি জানে ললনার ধাতেই তা আসবে না । কেশব বলে, কিরকম ভালবাসা চাই আরেকটু বুঝিয়ে বলুন ! ঃ কিরকম ভালবাসা চাও ? যেরকম জীবন চাও তার সঙ্গে যেটা খাপ খায়। সব মানুষ এই নিয়মেই ভালবাসা চায়। সহরে আধুনিক জীবন যে চায় সে ওই রকম ভালবাসাও চাহবে, যে সেকেলে গ্রাম্য জীবন পছন্দ করে সে সেকেলে গেয়ে মেয়ের ভালবাসা খুজবে। তোমার পছন্দ দু’রকম জীবন-অবশ্য সেই জন্যই দু'রকম জীবনের ওপরে তোমার বিদ্বেষও আছে। তুমি চাও ভালবাসার ছোট গেয়ে মেয়ের সরলতা থাকবে কিন্তু যুবতী মেয়ের তীব্রতা আর গভীরতা থাকবে-নিষ্কাম অন্ধ ভালবাসা হবে। অথচ কোনরকম ন্যাকামি থাকবে। না, আবার ললনাদের ভালবাসার মত মাজিত ও হবে, বৈচিত্র্যও থাকবে এইটাই শেষ কথা নয়। কিন্তু । ভালবাসাটা আবার মনগড়া কিছু চলবে না-রক্তমাংসের মানুষের ভালবাসা হবে, বাস্তব পৃথিবীর ভালবাসা হবে । কেশব খানিকক্ষণ। হতভাম্বের মত বসে থাকে । তারপর ধীরে ধীরে বলে, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। সার । আমার মত মেশাল জীবন তো অনেকের আছে, সবার কেন হিষ্টিরিয়া पुश का ? ডাক্তার দত্ত খুন্সী হয়ে বলে, সুন্দর প্রশ্ন করেছি। বুদ্ধিমানের মত প্রশ্ন করেছ। তুমি ব্যপারটা বুঝতে পারবে, তোমার অসুখ নিশ্চয় সেরে যাবে। যাদের এরকম মিশেল জীবন, হিষ্টিরিয়া না দাড়াক সংঘাতটা কম বেশী তাদের মধ্যেও আছে। তুমি কি সকলেরা, Q R at