পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবর মাটির মোটা পুরু সর। পড়া মেঝেতে বুড়ে। আঙ্গুলো আঁচড় কাটা সুরু করে। কেশব কোন কথা না বলাষ নত মুখে নিজেই বলে, রঞ্জনদা ধমকে দিলেন, তাইতে সবাই চুপ হয়ে গেল। নইলে চুরি করে মাছ খাওযার জন্যে রঞ্জনদা’র বাবা নিশ্চয় লাথি কষিয়ে দিতেন মায়ামাসীকে । কেশব খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে আচমকা বলে, তুহ মিছে কথা বলছিস মিনু’। তোর মায়ামাসীকে লাথি মারবার সাহস কখনো হয়। রঞ্জনের বাবার ? তোর মায়ামাসী গজে উঠবে না !

কি যে বলে তুমি । মায়ামাসা রোজ কত লাথি ঝাটা খাচ্ছে । চুপ করে সব সয়ে যায়। না সয়ে উপায় কি বলে ? বিধবা মানুষ, কোথায় যাবে, কার কাছে যাবে ? লাগি ঝাটা মেনে নিয়েই মায়া মাসীকে চলতে হয় ।

বোনের কাছে এই জবাবটাই আশা করছিল । বেরোতে দেরী হয়ে যায় । অনিমেষ হয় তো আপিস চলে গেছে । হাতে পয়সা নেয় । বঁারেশের কাছ থেকে মাইনেটা আজি আদায় করতে হবে । বীরেশের নিজের ব্যবসা, নিজের আপিস । খাওয়া-দাওয়া করে ধীরে সুস্থে সে বার হয় । তার আগে গাড়ী বার করার দরকার হয় কদাচিৎ —তবু কেশব দেরী করলে সে রাগ করে। বীরেশ রাগ করবে। জেনেও দেরী করে বার হয়ে কেশব অ্যাগে যায় অনিমেষদের বাড়ী । wo