পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেন, আবার উনি গর্জন করে উঠতে পারতেন না যে একটা বজাত তার মেয়েকে বাগাতে না পেরে তার ওপর গায়ের বাল বাড়ছে-এ অন্যায় বরদাস্ত করা চলবে না ?

আপনি দেখেছি সব জানেন ।
জানি বৈকি ।

ঃ বাবার শরীর খুব খারাপ, তা জানেন ? সারাজীবন খেটে খেটে বাবা আমাদের জন্যহ পুলিশ হাত তোলা মাত্র কেশব সশব্দে গাড়ীতে ষ্টাট দিয়ে ইলেকট্রিক হর্ণ টা চেপে রেখে আগের গাড়ী কটাকে ডিঙ্গিয়ে গিয়ে জোরে গাড়ী চালায় । ললন ভয়ার্ত্ত কণ্ঠে বলে, আমার নিয়ে সু্যইসাইড করবেন ? আমি তো কোন ক্ষতি করি নি। আপনার ! মনে মনে কেশবের হাসি পায়। ষ্টিয়ারিং হুইলে একটু গলদ আছে, সেটা মারাত্মক হতে পারে অনায়াসেই । কিন্তু গলদটা তার ভাল করেই জানা আছে, দু'আঙ্গুল বঁাচান রেখে সে গাড়ী লরী মানুষ লেম্পপেষ্ট ঘেষে গাড়ীটাকে চড়া স্পিডে নিরাপদে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে । লালন বার বার সুইসাইড করার কথা বলছে কেন ? আপিস ফেরত আনিমেষকে নিয়ে সে নাকি সুইসাইড করতে চেয়েছিল । আজ ললনাকে নিয়ে তার নাকি সুইসাইড করার ঝোক চেপেছে। আত্মহত্যা করার কথা স্বপনেও তার মনে আসেনি। এরা বাপে বেটিতে সিদ্ধান্ত করেছ যে মাথায় তার বিকার আছে সে আত্মহত্যা कदू5 53 । N90