পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানু বিড়ি ধরিয়ে বলে, চটছেন কেন ? মানুষ মরে গেলে ডাক্তার বঁাচাতে পারে ? মরা একটা ইঞ্জিন পাঠিয়ে আপনাকে বলছে বঁচিয়ে দাও । মরা ইঞ্জিন বঁাচাতে শিখিনি বাবু। আমার দ্বারা হবে না । ইঞ্জিনিয়ার বাবু যদি বলেন কিছু করা যায়, আমাকে যা করতে বলেন করব। মুখ্যসুখ্য মিস্ত্রি বাবু আমি, ভাঙা পচা ইঞ্জিন সারাবার বিদ্বেন্ত পাব কোথা ? হরেন বলে, সেরেছে ! শেষে আমার ঘাড়েই চাপালে ? কান্ত মৃত্যুস্বরে বলে, কাল হস্থিা পাইনি। আজ আমার চাই। পাচ 6इछि ७ङiझोछेश्लेभ याgछ । হরেন। কয়েক মুহূর্ত্ত পাথরের মুক্তির মত অপলক চোখে চেয়ে থাকে। তারপর খেদ আর অনুযোগের সুরে বলে, আমার সঙ্গে এরকম কারস কেন’রে ? আমার অবস্থাটা বুঝবি না তুই ? কান্ত শেষ টানে বিড়িটার সুতো পর্য্যন্ত পুড়িয়ে উদাস উদার ভাবে বলে, বুঝতে দেন না, তাই বুঝি না। যাক গে বাবু, তপ্তাটা দিয়ে দিন । কেশব লক্ষ্য করে, ওয়ার্কশপের একত্রিশজন কারিগর খানিক তফাতে এলোমেলো ভাবে দাড়িয়ে আছে। চুপচাপ দাড়িয়ে আছে। একেবারেই যেন স্বার্থ বলতে তাদের কিছুই নেই। সারা সপ্তাহ খেটেছে কিন্তু হাপ্ত পাবার জন্য ব্যগ্রতা উগ্রতা নেই। চারিদিকে চেয়ে দেখে হরেন বেঁটে রোগা এম. এ. পাশ সুধীরকে হুকুম দেয়, এদের হস্তা দিয়ে দাও । সুধীর আমতা আমতা করে বলে, একটু মুস্কিল হয়েছে। হাপ্ত দেবার ক্যাশ টাকা নেই। বঙ্গসদন ব্যাঙ্কের চেকটা ক্যাশ হয় নি ।

কেন হয় নি ?

R Q