পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঝে মাঝে অবশ্য গানের আসরে নিয়ে যাবার জন্য কেশবকেও গাড়ী বার করতে হয়। সব সময় সকলকে তো আর গাড়ী পাঠাতে বলা যায় না । ড্রয়িং রুমে প্রবেশাধিকার না থাক, গাড়ীতে তো ড্রাইভারকে কাছে রেখেই দিনের পর দিন চালাতে হয় নানা জনের সঙ্গে হাসি গল্প আলাপ আলোচনার পালা । কার সঙ্গে ভাব বেশী কার সঙ্গে কম সেটাও গোপন রাখা যায় না। ড্রাইভারের কাছে। কেশব টের পায়, হাসিখুসীি মিশুক বটে ললনা কিন্তু সকলের জন্যেই ঘনিষ্টতার একটা স্পষ্ট সীমা সে টেনে দিয়েছে, সে সীমা পেরিয়ে নিজেও কখনও এগোয় না, অন্যকেও এগোতে দেয় না । নরেশকে পর্য্যন্ত নয় । অথচ প্রথম দিকে তার ধারণা হয়েছিল, নরেশের সঙ্গে বুঝি ললনার খুব ভাব, হয় তো বা প্রেমেরই কাছাকাছিা! এতবার কেউ বাড়ীতে আসে না । এত বেশীবার আর কারও সঙ্গে ললনা এক গাড়ীতে চাপে না । কিন্তু ক্রমে ক্রমে কেশব জেনেছে, ঘনিষ্ঠতা - চায় কেবল নরেশ, काव्ठ व् । নরেশ একটা ওষুধের কারখানায় বেশ ভাল মাইনেতেই চাকরী マリび歪 | সেদিন ললনাকে মনে হচ্ছিল খুব শ্রান্ত। মুখটা বিবর্ণ দেখাচ্ছিল। মন্দ্রার জন্মদিনের উৎসবে গিয়ে ললনা তাকে গাড়ী নিয়ে অপেক্ষা করতে বলে । আধঘণ্টার মধ্যে সে বাড়ী ফিরে যাবে। ঘণ্টাখানেক পরে নরেশের সঙ্গে সে এসে গাড়িতে ওঠে । তেমনি শ্রান্ত বিবর্ণ দেখালেও হাসিখুসীি ভাবটা সে যেন জোর করে বজায় C5CoC2 l 86 V