পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মা নাতজামাইকে দেখতে ছুটে গেছে। তিনদিন কাশীতে তীর্থ করে কমল আর মলিন দের সঙ্গে ফিরে আসবে । কেশবের একটু বেলা করে কাজে গেলেও চলে । মায়া বলছে, তা তুমি যেও । কিন্তু ভোর রাত্রে ঘাটে গিয়ে দুধটা খেতে হবে। একটু ভেবে বলছে, আচ্ছা থাক। আরাম ছেড়ে কেন উঠতে যাবে ? আমিই জানালায় দুধটা দিয়ে আসব। \ অন্ধকারে তার মুখটা মায়া দেখতে পায় না। দেখলে চমকে যেত । কিন্তু কিছু একটা সে টের পেয়েছে। : কদিন কি হয়েছে তোমার ? কেমন যেন মন মরা আড়ষ্ট ভাব ? আরও খারাপ হয়েছে নাকি শরীর ? : না। শরীর ঠিক আছে। মিনুর বিয়ের কথাবার্ত্তা প্রায় হয়ে গেছে । ছেলেটির খবর দিয়েছিল গোবিন্দ । গোবিন্দের নাকি সংসারে মন নেই , দিন দিন বৈরাগ্য বাড়ছে কিন্তু পাড়ার বিয়ে পৈতে শ্রাদ্ধ হােক, পূজা পাৰ্বণ হােক কিম্বা। সরকারী আধা সরকারী সব অব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আর প্রতিবাদ জানাবার সভাই হোক-সব কিছুতে এসে জড়িত থাকে। আগে কোন ব্যাপারে তার টিকিট দেখা যেত না, অবলার পক্ষাঘাত হবার আগে । বলত, সময় কই ভাই ? দোকান দেখব, এত বড় সংসার দেখব, বঞ্চাট কি সোজা ? ক্রমে ক্রমে যত বৈরাগ্য বেড়েছে বাইরের অনেক কিছুতে জড়িয়ে পড়ার সময়ও তত বেশী পেয়েছে। তবে রঞ্জনকে পড়ার বদলে দোকানের পিছনে কিছু সময় দিতে হয়। তা হোক। তার তো সখের পড়া । তাকে ওই দোকানটাই সম্বল ዓbሆ