পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরতের দোকান থেকে অজিত তাকে ডাকে । সকালে শরৎ দোকানে হাজির থাকে । তাকে কয়েক মিনিটের জন্য খদের সামলাবার ভার দিয়ে অজিত দোকানের বাইরে আসে । বলে, কানুকে তে আপনি ভালমত চেনেন। স্বভাব চরিত্র কেমন ওরা ? ঃ স্বভাব ভালই । মদ। টদ খাওয়া ? : আপনার আমার মত কদাচিৎ সখা হলে খায়। ঃ সে কথা বলছি না । নেশা টেশা নেই তো ? রোজগার করছে, এতকাল বিয়ে থা” করেনি, এটা কেমন খাপছাড়া লাগিছিল। কেশব একটু হেসে বলে, এক হিসাবে খাপছাড়া বলতে পারেন, তবে খারাপ কিছু নয়। ও বলে কি, চোদপুরুষ কখনো হাতের কাজ করে খায় নি, বংশে আমি প্রথম খাটি মিস্ত্রী বনেছি। গোরস্ত ঘরের ছিচর্কাজুনে মেয়ে ঘরে এনে মরব ? একটু থেমে জিজ্ঞাসা করে, কানুর বিষয়ে এত খোঁজ খবর কেন ? অজিত চিন্তিত ভাবে বলে, অনেকদিন থেকে মেয়েটাকে বিয়ে করার কথা বলছে। তা বাড়ীর মেয়েরা বলছিল, দিলে মন্দ হয় না। বোমার বিশেষ ইচ্ছ। এখানে হোক। বলে কি ও যা মেয়ে এরকম লোকের হাতে পড়লেই সুখী হবে। চা’ করে বাবু গোছের ছেলের সঙ্গে বনবে না । কি করব তাই ভাবছি। মেয়েটা একটু কাঠ খোট্টাই বটে, মায়া দয়া কম। কেশব বলে, ওর সাথেই দিয়ে দিন। মানুষটা খাটি। ভদ্রঘরের বৌ হতে না পারলেও মেয়ে আপনার সত্যি সুখী হবে। কানু মানুষটা খাটি বৈকি। তার মত ভেজাল মানুষের তুলনায় কানু নিশ্চয়ই খাটি মানুষ। 7)