পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রান্নার লোক আর দুজন চাকর রেখে যে চালে চলে আনিমেষ, আজকের দিনে বড় চাকরীর মাইনেতে কি আর তা সম্ভব হয়। শক্রতা ঠিকই করেছে বঙ্কিম। পদোন্নতি করিয়ে দিয়ে গায়ের জবালা মিটিয়েছে । চাল খাটো করার, খরচ কমাবার ব্যবস্থা চলেছে । কেষ্টকে বিদায় দেওয়া হযেছে, নির্ম্মলাই এখন থেকে রান্না করবে। চাকর একজন রাখতে হবে । অৰ্জ্জুনকে রাখা দরকার কিন্তু নিমাইকে না রাখলেও চলে । শুনে নিমাই-এর সে কি কান্না ! না, সে কিছুতেই দেশে ফিরে যাবে না, এখানেই থাকবে । আমার মাইনে কমিয়ে দাও দিদিমণি, "আমায় ছাড়িয়ে দিও না ! এই সে দিনও তার মন কেমন করত দেশের জন্য, মায়ের জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে কঁদত। আজ দাড়িয়েছে বিপরীত। এবাড়ীর চাকরী ছেড়ে সহর ছেড়ে দেশে ফিরে যাবার নামে তার কান্না আসে । কান্না থামিয়ে সে কিছুক্ষণ ভাবে । তারপর বলে, আচ্ছা, আমি তবে একটা কাজ খুজে নিই । তিদিন আমায় রাখবে তো ? ললন বলে, হঁ্যা হঁ্যা রাখব। আমিই কাজ জুটিয়ে দেব’খন তোকে একটা । নিমাইকেও কেশব যেন আজ ঈর্ষা করে । গেয়ে ছেলে কিন্তু কত সহজে সে রপ্ত করে নিয়েছে সহরের জীবন আর চালচলন । শুধু তাই নয়, কানুর মত তাকেও মন স্থির করতে দশবার ভাবতে হয় না, ইতস্তত করতে হয় না । সেও নিজের মনটা বোঝে ! সহরে সে থাকতে চায়, সহরেই সে থাকবে । দেশে যাবার নামে কঁদতে